E-Paper

আবাসনে ঢোকার পথের খোঁজ সিপিএমের সম্মেলনে

লোকসভা ভোটের ফল বলছে, শহরাঞ্চলে তৃণমূল-বিরোধী ভোট বেড়েছে। বিজেপির সংগঠন কার্যত না-থাকলেও সেই ভোটের অনেকটা গিয়েছে গেরুয়া শিবিরে।

রাজীব চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৭:৪৬
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

পুরসভা ও পঞ্চায়েত দখলে থাকার সুবাদে শহর ও শহর সংলগ্ন গ্রামে গড়ে ওঠা আবাসনগুলিতে প্রবেশের অবাধ সুযোগ পান তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। নিরাপত্তাজনিত বাধানিষেধ থাকায় সেই সুযোগ নেই বামেদের কাছে। অথচ আবাসনে ভোটারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। দলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটি সূত্রে খবর, নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিউ টাউনের বেশ কিছু আবাসনে জনসংযোগ স্থাপন করা গিয়েছে। জেলার অন্যত্র সেই ‘মডেল’ অনুসরণের চেষ্টা হবে। একই ‘মডেল’ অনুসৃত হতে পারে রাজ্যের সর্বত্র।

কী এই ‘নিউ টাউন মডেল’? সিপিএমের রাজ্য কমিটির এক নেতার বক্তব্য, নিউ টাউনের আবাসনগুলিতে বসবাসকারীদের মধ্যে এমন অনেক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী আছেন, যাঁরা কর্মজীবনে কো-অর্ডিনেশন কমিটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। খুঁজে বার করে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তাঁদের অনেকে দলের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। তাঁদের মাধ্যমে আবাসনের অন্য বাসিন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। পরবর্তী পর্যায়ে নাগরিক কমিটি বা আবাসিক সমিতি গড়ে তাঁদের যুক্ত করা হচ্ছে। আবার সমাজমাধ্যমকে ব্যবহার করে দলীয় কর্মীরা আবাসনে বসবাসকারীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাচ্ছেন। প্রতিটি আবাসনে এমন কয়েক জনকে পাওয়া গেলে তাঁদের মাধ্যমে বাকি বাসিন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।

জেলার এক নেতার কথায়, ‘‘রাজনৈতিক প্রচার করতে গেলে আবাসনে প্রবেশের অনুমতি দেন না নিরাপত্তারক্ষীরা। আমাদের হাতে না আছে পঞ্চায়েত, না আছে পুরসভা। তৃণমূলকে এই সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় না। শাসক দল হিসেবে বাড়তি সুবিধা ওরা এমনিতেই পায়। আবার নাগরিক পরিষেবার কথা বলে পুর-প্রতিনিধি, পুর-প্রধান, পঞ্চায়েত সদস্য, পঞ্চায়েত প্রধানেরা অবাধে যাতায়াত করেন আবাসনগুলিতে।’’

লোকসভা ভোটের ফল বলছে, শহরাঞ্চলে তৃণমূল-বিরোধী ভোট বেড়েছে। বিজেপির সংগঠন কার্যত না-থাকলেও সেই ভোটের অনেকটা গিয়েছে গেরুয়া শিবিরে। সিপিএমের পর্যবেক্ষণ, আবাসনগুলিতে যোগাযোগ স্থাপন করা গেলে বিজেপির ভোটে ভাগ বসানো যাবে। হুগলি জেলা সিপিএম সূত্রে খবর, শাখা ও এরিয়া কমিটির সম্মেলনগুলিতে আবাসনে যোগাযোগ স্থাপনের প্রসঙ্গ তুলছেন প্রতিনিধিরা। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য বলছেন, ‘‘অনেক আবাসনে আমাদের এক বা একাধিক কর্মী বাস করেন। আমাদের লক্ষ্য, তাঁদের সক্রিয় করে অন্য আবাসিকদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো। যে আবাসনগুলিতে আমাদের কর্মী নেই, সমাজমাধ্যম ব্যবহার করে বা অন্য কোনও উপায়ে সেখানে বাম-মনস্ক মানুষ খুঁজে বার করার চেষ্টা চলছে। এই কাজ
শুরু হয়েছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

CPIM New Town

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy