তাঁদের লক্ষ্য এ বার বাংলা। রাজ্য সফরে এসে এই পরিকল্পনা ঘোষণা করে দিয়ে তৃণমূলের রক্তচাপ বাড়িয়ে দিয়েছেন অমিত শাহ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য একটু স্বস্তির বার্তা বয়ে এনে সিপিএম ঘোষণা করে দিল— ‘বাংলা বিপন্ন, চলো নবান্ন’!
কৃষকদের দুর্দশা-সহ একগুচ্ছ যে দাবি নিয়ে বামেদের নবান্ন অভিযান, তার অনেক কিছুই মমতার সরকারের বিরুদ্ধে। তা হলে স্বস্তি কীসের? আসলে বিজেপি-র চোখা আক্রমণের মুখে পড়ে ইদানীং বাম-নাম জপছেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বুঝতে পারছেন, বামেরা নিজেদের জমি ধরে রাখতে পারলে বিজেপি মোকাবিলায় সুবিধাই হয়। যে কারণে সম্প্রতি সাংগঠনিক নির্বাচনের মঞ্চে দলের কর্মীদের উদ্দেশে মমতা বলেছেন, পাড়ায় পাড়ায় সিপিএমের লোকজনকে বুঝিয়ে-বাজিয়ে সঙ্গে রাখতে হবে, যাতে তাঁরা বিজেপি-তে না চলে যান। এই পরিস্থিতিতে বামেরা তেড়েফুঁড়ে রাস্তায় নামলে মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক স্বস্তি হবে বৈকি!
রাজ্য কমিটির দু’দিনের বৈঠক থেকে এ বার নবান্ন অভিযানের জন্য গুছিয়ে প্রস্তুতির বার্তাই দিয়েছে আলিমুদ্দিন। সারা রাজ্য থেকে লাখতিনেক লোক জমায়েত করার পরিকল্পনা আছে। অভিযানের দিন আগামী ২২ মে জেলার নেতা-কর্মীদের রাতে কলকাতায় থেকে যাওয়ার জন্য তৈরি থাকতেও বলে দেওয়া হয়েছে। বৈঠকের জবাবি ভাষণে বুধবার সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেছেন, ঠিক কী কর্মসূচি থাকবে, এখন থেকে সব বলা যাবে না। রাতে থাকার প্রস্তুতি নিয়েই আসতে হবে।
আরও পড়ুন: বাবা বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে, পুলিশকাকু বাঁচান
আর বৈঠকের পরে প্রকাশ্যে সূর্যবাবুর মন্তব্য, ‘‘এখন পাখির চোখ নবান্ন অভিযান। কর্মীদের জন্য বার্তা, সে দিন যে কোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’’
দু’বছর আগে বামেদের নবান্ন অভিযান ঘিরে উত্তপ্ত হয়েছিল রাজপথ। এ বার বিরোধী পরিসরে বিজেপি থাবা বসানোর পরে বামেরা রাস্তায় নেমে আন্দোলনে দাগ কাটতে মরিয়া। আবার বিজেপি-র থেকে নজর ঘোরাতে বামেদের তৎপরতা চাইছেন মমতাও। তাই এ বারের ‘নবান্ন চলো’ ঘিরে ফের সংঘাত বাধারই সম্ভাবনা।
পাশাপাশি, বিধানসভা ভোটের পর এ দিনই প্রথম রাজ্য কমিটিতে এবং প্রকাশ্যে সূর্যবাবু সরাসরি কংগ্রেসের নাম করে বলেছেন, গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ সব শক্তিকে একজোট হয়ে মেরুকরণের রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy