পদযাত্রা করেই পুরনো সমর্থন ফেরাতে চাইছে সিপিএম। বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস থেকে অপশাসনের একাধিক অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে বিশাল মিছিল ও সভা করল সিপিএম। এ দিন খাতড়ার সুপুর থেকে রানিবাঁধ পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার পদযাত্রায় দলের কর্মী-সমর্থকদের ভিড়ও দেখা গেল। অনেকদিন পরে এমন মিছিল করতে পেরে তৃপ্ত সিপিএমের জেলা নেতৃত্ব।
এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ খাতড়ার সুপুর এলাকা থেকে সিপিএমের পদযাত্রা শুরু হয়। নেতৃত্বে ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য অমিয় পাত্র, বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অজিত পতি, রানিবাঁধের বিধায়ক দেবলীনা হেমব্রম প্রমুখ। বাঁকুড়া– রানিবাঁধ রাজ্য সড়কে সুপুর থেকে মিছিল খড়বনা মোড়, খাতড়ার পুরাতন বাজার, করালী মোড় হয়ে পাম্প মোড়ে পৌঁছয়। সেখান থেকে দেন্দুয়া, কেচন্দা, আকখুটা, মল্লিকডাঙা হয়ে দুপুর আড়াইটে নাগাদ রানিবাঁধে পৌঁছয় মিছিল। তার মাঝে করালী মোড় ও রানিবাঁধে পথসভাও করা হয়। সিপিএমের জেলা সম্পাদক অজিত পতির অভিযোগ, “পাঁচ বছরেও কংসাবতীর সেতু তৈরি হয়নি। ডিজিটাল রেশন কার্ড পাননি বহু গরিব মানুষ। সর্বোপরি গ্রামে গ্রামে তৃণমূলের সন্ত্রাস পুরোদমে শুরু হয়েছে।” তাঁদের দাবি, পদযাত্রায় ছ’হাজারের বেশি মানুষ সামিল হয়েছিলেন। এই পদযাত্রাকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য অরূপ চক্রবর্তীর পাল্টা অভিযোগ, “সিপিএম ৩৪ বছরে জঙ্গলমহলের জন্য কিছুই করেনি। এখন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জঙ্গলমহলের উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কর্মকাণ্ড শুরু করেছেন। তা দেখেই দিশেহারা হয়ে সিপিএম ভোটের সময় অপপ্রচার শুরু করেছে।’’
সিপিএমের এই পদযাত্রার জেরে খাতড়া শহরে কিছুক্ষণের জন্য যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। মিছিল চলে যাওয়ার পরে অবশ্য যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। মিছিলকে ঘিরে পুলিশি তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। আকখুটা মোড়ে মিছিলের আগে রুটমার্চ করেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy