—প্রতীকী ছবি।
শুরু হয়েছিল ‘পাহারায় পাবলিক’ দিয়ে। এ বার সেই আদলেই জন-পরিষেবা ক্ষেত্রে আরও নজর দিয়ে ‘পথের দাবি’র অভিযান শুরু করছে সিপিএম। দলের তরফে ই-মেল আইডি এবং হোয়াটস্অ্যাপ নম্বর দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানানো হচ্ছে বেহাল রাস্তার ছবি ও তথ্য জানাতে। তার ভিত্তিতে যেমন সমাজমাধ্যমে প্রচার চালানো হবে, তেমনই স্থানীয় স্তরে প্রতিবাদ কর্মসূচি নেবে সিপিএম। জনতার সঙ্গে সংযোগ বাড়াতেই ডিজিটাল মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে এমন কর্মসূচি নিয়েছে তারা। শাসক তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য এর জন্য সিপিএমকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না।
বর্ষার সঙ্গে সঙ্গেই রাস্তার বেহাল দশা নিয়মিত ভাবে সাধারণ মানুষের জন্য ভোগান্তির কারণ হয়। এ বারও কলকাতা, বিধাননগর এবং শহরতলির বিভিন্ন রাস্তা খানাখন্দে ভরে থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন মানুষ। জেলায় জেলায় বিভিন্ন রাস্তা নিয়ে রয়েছে আরও অজস্র অভিযোগ। এই প্রেক্ষিতেই সিপিএমের আহ্বান, যেখানে যেখানে রাস্তা মারণ-ফাঁদ হয়ে আছে, তার ছবি ও তথ্য নির্দিষ্ট ই-মেল এবং হোয়াটস্অ্যাপে পাঠিয়ে দিন স্থানীয় মানুষ। দলের কর্মীদেরও বলা হয়েছে, সমাজমাধ্যমে ‘পথের দাবি’ ট্যাগ-সহ ওই ছবি ও তথ্য নিয়ে প্রচার চালাতে। এর আগে স্থানীয় স্তরে শাসক দলের নেতাদের ‘সস্পত্তির পাহাড়ে’র হদিস দিতে ‘পাহারায় পাবলিক’ কর্মসূচি চালু করেছিল সিপিএম। তাতে ভাল সাড়াও মিলেছিল বলে দলের দাবি। তার পরে নেওয়া হয়েছিল ‘নজরে পঞ্চায়েত’ কর্মসূচি। যেখানে পঞ্চায়েত স্তরের দুর্নীতির অভিযোগের তথ্য নিয়ে প্রচার এবং আইনি লড়াইয়ের ডাক দিয়েছিল সিপিএম।
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুজন চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘অনেক জায়গায় এখন দলীয় কর্মসূচি করতে গেলে মানুষ আমাদের ডেকে নিয়ে গিয়ে বলছেন, এলাকার রাস্তার হাল একটু দেখে যান! মানুষ তিতিবিরক্ত। আমরা তো রাস্তা সারিয়ে দিতে পারব না। তথ্য নিয়ে প্রচার করে প্রশাসনের নজরে আনা হবে। স্থানীয় স্তরে আন্দোলন হলে প্রশাসনের উপরে চাপও বাড়বে।’’ তবে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, ‘‘সিপিএমের মুখে এখন আর এ সব কেউ শুনতে চান না। ওঁরা এখন ‘দীপ নিভে গেছে মম’ গানটি গেয়ে দেখতে পারেন! যদি মানুষ শোনেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy