E-Paper

নওশাদের মুক্তি চেয়ে শহরে পথে বামেরা

গত মাসের ১৫ তারিখ আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙর। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে আইএসএফের অফিস ভাঙচুর করার।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৬:৪৫
Picture of Nawsad Siddique.

আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। ফাইল চিত্র।

আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর মুক্তির দাবিতে পথে নামল বাম-আইএসএফ সহ ১৮টি রাজনৈতিক দল ও গণ সংগঠন। মৌলালির রামলীলা ময়দান থেকে রানি রাসমণি রোড পর্যন্ত মিছিলে পা মেলান বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, আরএসপি নেতা মনোজ ভট্টাচার্যেরা। নৈতিক ভাবে সমর্থন জানালেও মিছিলে দেখা যায়নি কংগ্রেসের কাউকে। এ দিনের মিছিলে চোখে পড়ার মতো ভিড় হয়।

গত মাসের ১৫ তারিখ আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙর। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে আইএসএফের অফিস ভাঙচুর করার। তারই প্রতিবাদে ২১ জানুয়ারি ধর্মতলায় অবস্থান কর্মসূচি নেয় আইএসএফ। সেখানে পুলিশের সঙ্গে তাদের খণ্ডযুদ্ধ বাধে। ঘটনাস্থল থেকে নওশাদ-সহ ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। মিথ্যে মালমায় নওশাদদের গ্রেফতারির প্রতিবাদে ও অবিলম্বে মুক্তির দাবিতেই এ দিনের মিছিল।

মিছিলে আইএসএফ, বামফ্রন্টের শরিক দল ছাড়াও পা মেলান অতি বাম সংগঠনের সদস্যরা। বিমানবাবু বলেন, “বামফ্রন্টের সমর্থনপুষ্ট আইএসএফ বিধায়ক নওশাদের গ্রেফতারি গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধের চেষ্টা। তাঁকে যে ভাবে এক থানা থেকে আর এক থানায় নিয়ে গিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ করছি। আমরা অবিলম্বে তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করছি এবং যাঁরা অশান্তির ঘটনায় প্রকৃত যুক্ত তাঁদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।” মুর্শিদাবাদে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর বক্তব্য ‘‘তৃণমূল যে দিন থেকে এসেছে, এ রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। নওশাদ সিদ্দিকীর দলের আদর্শ আলাদা, আমাদের দলের আদর্শ আলাদা। আমরা ওদের সমর্থনও করিনি। কিন্তু নওশাদকে বিনা শর্তে ছেড়ে দেওয়া হোক। রাজ্য-সহ গোটা দেশে বিরোধীদের যে অধিকার, সেটা দেওয়া হোক।’’

এনআরসি বিরোধী নাগরিক মঞ্চের নেতা প্রসেনজিৎ বসু বলেন, “মিথ্যা মামলায় গত ২৪ দিন ধরে জেলবন্দি ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী-সহ ৭১ জন আইএসএফ কর্মী-সমর্থকের মুক্তির দাবিতে আজ বিক্ষোভ মিছিল হয় কলকাতার রাজপথে। গণতন্ত্র রক্ষার্থে সকল শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষকে এই দাবিতে সোচ্চার হওয়ার আবেদন জানাই।’’

যদিও তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, ‘‘জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ সব বিষয়ে আদালতে দৌড়নো বিকাশবাবুরা (বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য) এ নিয়ে আদালতে না গিয়ে মিছিল করছেন কেন? কোনও ব্যক্তি যদি রাস্তা আটকে বসে থাকেন, তাঁর সঙ্গে থাকা কোনও ব্যক্তির থেকে যদি অস্ত্র উদ্ধার হয়, তা হলে তো তদন্ত হবেই।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Nawsad Siddique ISF CPM

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy