চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলছেন মহম্মদ সেলিম। —নিজস্ব চিত্র।
অদূরেই রেড রোডে কার্নিভালের ম্যারাপ বাঁধা চলছে। গান্ধী মূর্তির পাদদেশ থেকে মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশ— উৎসবের মধ্যেও ত্রিপল খাটিয়ে অবস্থানে বসে রয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের বিভিন্ন মঞ্চ। সপ্তমীর দুপুর থেকে বিকেল তেমনই সাতটি মঞ্চে গেলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সিপিএম নেতাকে পেয়ে চাকরিপ্রার্থীদের অনেকেই অনুরোধ জানালেন— দলমত নির্বিশেষে, সরকার বিরোধী সব নেতা তাঁদের সঙ্গে লাগাতার অবস্থান করুন। সেলিম তাঁদের উদ্দেশে জানালেন, তাঁরা অবস্থানে লাগাতার থাকতে চান। কিন্তু তার আগে সব মঞ্চকে এক জায়গায় আসতে হবে। আলাদা থাকলে হবে না।
শনিবার বেলা সওয়া তিনটে নাগাদ মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির সামনে পৌঁছন সেলিম। তার পর যান উচ্চ প্রাথমিক, এসএসসি গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, এসএলএসটি-সহ চাকরিপ্রার্থীদের পাঁচটি মঞ্চে। সেখান থেকে হেঁটে যান গান্ধী মূর্তির পাদদেশে আরও দু’টি মঞ্চে।
সেলিমের কাছে চাকরিপ্রার্থীদের আক্ষেপ, আরও কত উৎসব তাঁদের এই ভাবে রাস্তায় পড়ে থাকতে হবে? একই সঙ্গে জানান, আদালতের দীর্ঘ লড়াইয়ে তাঁরা ক্লান্ত। রাজ্য সরকার যে ভাবে খরচ করে আইনজীবী দাঁড় করাচ্ছে সেখানে তাঁরা পেরে উঠছেন না। অসম লড়াই লড়তে হচ্ছে।
সেলিম চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশে বলেন, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের সাধারণ মানুষকে সমবেত করতে দলের ছাত্র-যুবরা কর্মসূচি নিচ্ছে। দলও চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের প্রতি সহানুভূতিশীল।
ষষ্ঠীতে চাকরিপ্রার্থীদের মঞ্চে গিয়েছিলেন সিপিএমের যুব সংগঠনের সম্পাদক মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়-সহ অন্যরা। সপ্তমীতে গেলেন সেলিম। যদিও তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘‘সিপিএমের লোকজনের এই যাওয়া আসলে উস্কানির লক্ষ্যে। এক দিকে তাঁরা চাকরিপ্রার্থীদের মঞ্চে যাচ্ছেন, অন্য দিকে কোর্টে গিয়ে মামলা করছেন।
টেট চাকরিপ্রার্থীরা সেলিমের কাছে বলেন, ‘‘আমাদের প্যানেল যেন কাঁঠালের আমসত্ত্ব। বছর বছর পরীক্ষা হয়। কিন্তু নিয়োগ হয় না। তালিকা বেরোলে তা আবার আটকে যায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy