E-Paper

পরিবহণের কী হাল, পথে মালুম নেতাদের

কলকাতায় দলের রাজ্য কমিটির বৈঠক শেযে বুধবার বিকালে ধর্মতলায় এসে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণের বাস ধরেছিলেন সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলার নেতারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:০২
cpm.

—প্রতীকী ছবি।

সরকারি পরিবহণের বেহাল দশার বিরুদ্ধে তাঁরা আন্দোলন করে থাকেন। পরিবহণের হাল কেমন, এ বার হাতে গরম সেই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলেন সিপিএম নেতারা!

কলকাতায় দলের রাজ্য কমিটির বৈঠক শেযে বুধবার বিকালে ধর্মতলায় এসে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণের বাস ধরেছিলেন সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলার নেতারা। বাস ডিপোয় এসেও শেষ মুহূর্তে ট্রেন ধরার জন্য বেরিয়ে গিয়েছিলেন দলের ঝাড়গ্রাম জেলা সম্পাদক প্রদীপ সরকার। বাসে চেপে রওনা হন প্রাক্তন সাংসদ পুলিন বিহারী বাস্কে, রাজ্য কমিটির সদস্য তাপস সিংহ ও তাঁদের সঙ্গী কয়েক জন। গন্তব্য মেদিনীপুর। ধূলাগড় পার করতে না করতেই অন্তত দু’বার ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায় বাসের। চালক ও কন্ডাক্টরের নানা কসরতে চালু করার পরে উলুবেড়িয়া পৌঁছেই বাস পাকাপাকি স্তব্ধ! বাসের কর্মীরাই ফোন করে গ্যারেজ থেকে লোক আনানোর ব্যবস্থা করেন। যাতে বাসের চাকা অন্তত গড়াতে পারে! বাসের ভিতরে তত ক্ষণে চালক ও কন্ডাক্টরের সঙ্গে বচসা বেধে গিয়েছে যাত্রীদের। গন্ডগোল থামাতে হস্তক্ষেপ করেন সিপিএম নেতারা। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘কর্মীদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। তাঁরা নিরুপায়। সরকারি পরিবহণের রক্ষণাবেক্ষণে খরচ করা হচ্ছে না, পরিবহণে কর্মী নিয়োগ বন্ধ। বহু জায়গায় টাকা বকেয়া। এই অবস্থায় চলবে কী ভাবে?’’ ঘণ্টাদেড়েকের বেশি উলুবেড়িয়ায় আটকে থাকার পরে অনেক রাতে মেদিনীপুর পৌঁছয় বাস। পরিবহণ দফতরের এক কর্তাও মেনে নিচ্ছেন, পরিষেবার ক্ষেত্রে বেশ কিছু সমস্যার অভিযোগ আসছে পর্যাপ্ত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে। সম্প্রতি বিধানসভায় স্থায়ী কমিটিও তাদের রিপোর্টে রক্ষণাবেক্ষণ-সহ সরকারি পরিবহণের বেহাল দশাই তুলে ধরেছিল।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

CPM Transport West Bengal

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy