Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Jyoti Basu

জ্যোতি বসু নামাঙ্কিত গবেষণাগার গড়তে অর্থসাহায্যের সঙ্গে নির্মাণ সামগ্রীও চাইল সিপিএম

জ্যোতি বসুর নামাঙ্কিত গবেষণাগার গড়তে দলমত নির্বিশেষে অর্থসাহায্য চাইল সিপিএম। সঙ্গে নির্মাণ সামগ্রীও দেওয়া যেতে পারে।

জ্যোতি বসুর নামাঙ্কিত গবেষণার কেন্দ্র তৈরির কাজ শেষ করতে চায় দল।

জ্যোতি বসুর নামাঙ্কিত গবেষণার কেন্দ্র তৈরির কাজ শেষ করতে চায় দল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২২ ১৭:৪৮
Share: Save:

জ্যোতি বসুর নামাঙ্কিত গবেষণাগার গড়তে দলমত নির্বিশেষে অর্থসাহায্য চাইল সিপিএম। অর্থসাহায্যের পাশাপাশি, চাওয়া হয়েছে নির্মাণ সামগ্রীও। দেশের বাম রাজনীতিতে তাঁর সমতুল্য নেতা এখনও সিপিএম নেতৃত্বে নেই। গত শুক্রবার সেই কিংবদন্তী নেতার ১০৯তম জন্মদিনে ওই গবেষণাগারের শিলান্যাস অনুষ্ঠান হয়ে গিয়েছে। আলিমুদ্দিন স্ট্রিট সূত্রে খবর, দ্রুত তাঁর নামাঙ্কিত গবেষণার কেন্দ্র তৈরির কাজ শেষ করতে চায় দল। ওই কেন্দ্রের নাম দেওয়া হয়েছে ‘জ্যোতি বসু কেন্দ্র’। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর স্মরণে এই গবেষণা কেন্দ্রটি তৈরির কাজ করবে ‘জ্যোতি বসু সেন্টার ফর সোশ্যাল স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ’ নামে একটি সংস্থা। এই কেন্দ্রে প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রীর ব্যবহৃত সামগ্রীর প্রদর্শনী কক্ষ যেমন থাকবে, তেমনই থাকবে আন্তর্জাতিক, জাতীয় ও রাজ্যস্তরে কমিউনিস্ট এবং বামপন্থী রাজনীতি সংক্রান্ত দলিলের ভান্ডার। যা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের গবেষকদের কাজ করার জন্য খোলা থাকবে। এমন বিরাট কর্মযজ্ঞের জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হবে বলেই মনে করছে মুজফ্‌ফর আহমেদ ভবনের একাংশ। তাই একটি আবেদনপত্রও প্রকাশ করেছে করা হয়েছে। তাতে লেখা হয়েছে, ‘নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্মাণকার্য সম্পন্ন করতে হবে। অন্য দিকে, আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধির কারণে এই সময়ে খরচখরচা বাড়ছে প্রতিদিন। এমতাবস্থায়, দলমত নির্বিশেষ সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে ট্রাস্টের ভবন নির্মাণ সাধ্যমতো অর্থ ও নির্মাণ সামগ্রী সাহায্যের আবেদন জানানো হচ্ছে।’ জ্যোতি বসু সেন্টারের নামে এই সাহায্য পাঠাতে হবে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের ঠিকানায়। কিন্তু অর্থসাহায্যের সঙ্গে নির্মাণ সামগ্রী চাওয়া হল কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘প্রথমে পাঁচিল দেওয়ার কাজ হবে। আমাদের অনেক পার্টি দরদি আছেন, যাঁরা অর্থের বদলে নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে থাকেন। পার্টি অফিস তৈরির সময়ও আমাদের অনেক পার্টি কর্মী অর্থের বদলে ইট, বালি কিংবা সিমেন্ট কিনে দেন। এটা কোনও নতুন বিষয় নয়।’’

এই গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান করা হয়েছে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুকে। বামফ্রন্ট জমানার শেষ দিকে জ্যোতিবাবুর প্রয়াণের পর নিউটাউনে একটি জমি কিনেছিল রাজ্য সিপিএম। সেই সময় এই জমিটি কিনতে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা খরচ করেছিল দল। সেই সময় সিদ্ধান্ত হয়েছিল রাজ্যে অষ্টম বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় এলে গবেষণা কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু হবে। কিন্তু ২০১১ সালে পালাবদলের পর জমির হস্তান্তর নিয়ে নানা জটিলতা তৈরি হয়। থমকে যায় গবেষণা কেন্দ্র নির্মাণের কাজ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে ওই জমি পাকাপাকি ভাবে হাতে আসে সিপিএম নেতৃত্বের। এখন সেখানে নির্মাণের নকশা তৈরির কাজ চলছে। এক বার নকশা তৈরির কাজ শেষ হয়ে গেলে, দ্রুতই নির্মাণ কাজও শুরু হয়ে যাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Jyoti Basu CPM Laboratory
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE