Advertisement
E-Paper

‘ছাড় ও হেনস্থা’র জোড়া প্রশ্নে আজ ইডি-বিক্ষোভে সিপিএম

উল্টোডাঙ্গার হাডকো মোড়ে জমায়েত করে আজ সিজিও কমপ্লেক্সের দিকে মিছিল নিয়ে যাওয়ার ডাক দিয়েছে সিপিএম। কর্মসূচি আয়োজনের দায়িত্ব উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সিপিএমের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৩ ০৮:৩২
representational image

—প্রতীকী ছবি।

বিস্তর অভিযোগ এবং আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ থাকলেও কেন্দ্রীয় সংস্থা উপযুক্ত পদক্ষেপ করছে না। অন্য দিকে, ‘সত্য’ সামনে আনলে পুলিশ বা কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে। এই জোড়া অভিযোগকে সামনে রেখেই আজ, বৃহস্পতিবার বিধাননগরের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি, সিবিআই দফতরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে সিপিএম। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রাজ্যের বকেয়া টাকা আদায়ের দাবিতে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস যখন রাজভবন অভিযান করবে, সেই দিনেই কেন্দ্রীয় সংস্থার উপরে চাপ বাড়ানোর কর্মসূচিতে থাকবেন সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব। সিপিএমের সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান অবশ্য তৃণমূলের রাজভবন অভিযানের অনেক আগেই ঘোষিত।

উল্টোডাঙ্গার হাডকো মোড়ে জমায়েত করে আজ সিজিও কমপ্লেক্সের দিকে মিছিল নিয়ে যাওয়ার ডাক দিয়েছে সিপিএম। কর্মসূচি আয়োজনের দায়িত্ব উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সিপিএমের। বিধাননগরে ওই জায়গায় আগেও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বামেরা। তাঁদের দাবি প্রসঙ্গে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এ দিন আলিমুদ্দিনে বলেছেন, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন দুর্নীতির কিছু পাওয়া গেলে নাকি ফাঁসি যাবেন! আমরা সে রকম কোনও দাবি করিনি। এই অভিযোগে ফাঁসি হয় না। আমরা কেবল বলছি, বিভিন্ন দুর্নীতিতে, বিশেষ করে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে, এত টাকা লেনদেন হয়েছে, কোথায় গিয়েছে, কে লাভবান হয়েছে, খুঁজে বার করতে হবে। চাকরি নিলাম হয়েছে। যোগ্য চাকরি-প্রার্থীরা রাস্তায় বসে রয়েছেন। তদন্ত করে অপরাধীদের খুঁজে বার করতে হবে।’’

এই সূত্রেই দিল্লিতে ‘নিউজক্লিক’ ওয়েবসাইটের সম্পাদক প্রবীর পুরকায়স্থ-সহ আরও এক জনকে গ্রেফতার এবং কর্মীদের ‘হেনস্থা’ করার নিন্দা করেছেন সেলিম। তাঁর মতে, এই রাজ্যে দুর্নীতির ভূরি ভূরি অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় তদন্তের শিথিলতা এবং ‘সত্য ও তথ্য উদঘাটন’ করলেই পুলিশ এবং নানা দমনমূলক আইন কাজে লাগিয়ে কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের মন্তব্য, ‘‘আজও ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে স্পষ্ট যে, কেন্দ্রীয় সংস্থা তদন্ত করছে না। আর তৃণমূলের সাংসদ এক আদালত থেকে আর এক আদালতে ছুটে বেড়াচ্ছেন তদন্ত এড়ানোর চেষ্টায়। বাইরে বেরিয়ে আবার বীর বিক্রমে তিনিই সাংবাদিক সম্মেলন করছেন!’’ সেলিমের আরও প্রশ্ন, ছাত্র-নেতা সুদীপ্ত গুপ্তের মৃত্যুর পরে দিল্লিতে রাজ্যের তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে ‘হেনস্থা’র প্রতিবাদে তৃণমূল বাংলায় সিপিএমের ১৩৮০টি কার্যালয় ভাঙচুর করেছিল অথচ এ বার দিল্লিতে অভিষেকদের ‘হেনস্থা’র পরে এখানে বিজেপির দফতরে কোনও বিক্ষোভ হল না! তাঁর কথায়, ‘‘আমরা চাই না কোনও দলের কার্যালয়ে হামলা হোক। কিন্তু দু’টো ঘটনায় দু’রকম প্রতিক্রিয়ায় ভিতরের ব্যাপারটা স্পষ্ট!’’

সংবাদমাধ্যমের ‘হেনস্থা’র প্রতিবাদে এ দিনই মৌলালি মোড়ে প্রতিবাদ-সভা করেছে সিপিআই (এম-এল) লিবারেশন। সর্ব স্তরের মানুষকে প্রতিবাদে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলি। কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যেরও বক্তব্য, ‘‘একনায়কতন্ত্রে বিশ্বাসী শক্তি কখনওই স্বাধীন মতামত, সত্য পরিবেশনকে সহ্য করতে পারে না। দিল্লিতে ‘নিউজক্লিকে’র ঘটনায় সেটাই আবার স্পষ্ট হল।’’

CPM ED CBI
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy