সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের অবসরে প্রকাশ ও বৃন্দা কারাট এবং মহম্মদ সেলিম। প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে। নিজস্ব চিত্র।
শহরে পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি নেই। তাই কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠককে উপলক্ষ করেই শহরে মিছিল ও বড় সমাবেশের ডাক দিল সিপিএম। ‘সাম্প্রদায়িক বিজেপি ও দুর্নীতগ্রস্ত তৃণমূলকে পরাস্ত করে বামপন্থী বিকল্পকে শক্তিশালী করার আহ্বান’কে সামনে রেখে শহরের প্রাণকেন্দ্রে কাল, সোমবার ওই সমাবেশে বক্তা সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দেবলীনা হেমব্রম।
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক এ বার হচ্ছে কলকাতায়। তিন দিনের বৈঠক চলবে সোমবার পর্যন্ত, তার পরে সমাবেশ। দলের রাজ্য কমিটির পাশাপাশি বৈঠক আয়োজনের দায়িত্ব ভাগ করে নিয়েছে কলকাতা জেলা কমিটিও। কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকও বসেছে কলকাতা জেলা সিপিএমের দফতর প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে। দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের মধ্যে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ও অর্থমন্ত্রী কে এন বালগোপাল কলকাতায় বৈঠকে আসেননি সে রাজ্যে বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে ব্যস্ত থাকায়। দলের ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী ও বামফ্রন্টের আহ্বায়ক নারায়ণ করও নিজেদের রাজ্যে ভোটের দায়িত্বে ব্যস্ত। কলকাতায় কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের পরে সাম্প্রতিক কালে সমাবেশ হয়নি। সিপিএম সূত্রের ব্যাখ্যা, পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলায় জেলায় দল ও নানা গণ-সংগঠনের উদ্যোগে জমায়েত ও বিভিন্ন কর্মসূচি চলছে। কিন্তু কলকাতায় পুজোর পরে বড় কোনও সমাবেশ হয়নি। কোনও কোনও মহলে প্রশ্ন উঠেছে, শহরে কি সিপিএম ঝিমিয়ে পড়ল? সেই জন্যই কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক উপলক্ষে মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন।
ধর্মতলার সমাবেশে সভাপতিত্ব করার কথা সিপিএমের কলকাতা জেলা সম্পাদক কল্লোল মজুমদারের। দলীয় সূত্রের খবর, সিপিএম প্রতিষ্ঠার সময়ের ৯ জন পলিটব্যুরো সদস্যের (যাদের ‘নবরত্ন’ বলা হয়) নামাঙ্কিত ৯টি ‘ব্রিগেড’ সে দিন মিছিল করে ধর্মতলায় সমাবেশে আসবে। ভিক্টোরিয়া হাউস থেকে ‘বিটি রণদিভে ব্রিগেড’, কলকাতা পুর ভবন থেকে ‘ইএমএস নাম্বুদিরিপাদ ব্রিগেড’, সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশন থেকে ‘এ কে গোপালন ব্রিগেড’, সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে ‘জ্যোতি বসু ব্রিগেড’, এন্টালির রামলীলা পার্ক থেকে ‘পি রামমূর্তি ব্রিগেড’, পার্ক স্ট্রিট মেট্রো স্টেশন থেকে ‘হরকিষণ সিংহ সুরজিৎ ব্রিগেড’, মেয়ো রোডের গান্ধী মূর্তি থেকে ‘পি সুন্দরাইয়া ব্রিগেড’, নোনাপুকুর ট্রাম ডিপো থেকে ‘এম বাসবপুন্নাইয়া ব্রিগেড’ এবং আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজ থেকে ‘প্রমোদ দাশগুপ্ত ব্রিগেড’ নাম দিয়ে মিছিল হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy