Advertisement
E-Paper

গুরুঙ্গ দমনে সামিল হবে না কেন্দ্রীয় বাহিনী

মঙ্গলবারই হাইকোর্টের নির্দেশে পাহাড় থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া স্থগিত হয়েছে। শিলিগুড়িতে নেমে এসেও পাহাড়ে ফিরতে শুরু করেছে সিআরপি।

জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:৫৮
বিমল গুরুঙ্গ

বিমল গুরুঙ্গ

পাহাড়ে ‘জঙ্গি দমন’ অভিযানে কেন্দ্রীয় বাহিনী সামিল হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন সিআরপিএফ-এর আইজি শঙ্করণ রবীন্দ্রন।

মঙ্গলবারই হাইকোর্টের নির্দেশে পাহাড় থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া স্থগিত হয়েছে। শিলিগুড়িতে নেমে এসেও পাহাড়ে ফিরতে শুরু করেছে সিআরপি। কেন্দ্র-রাজ্য এই টানাপড়েনের বাতাবরণে রাজ্য পুলিশের দিকে কার্যত অভিযোগের আঙুল তুলেছেন রবীন্দ্রন। তাঁর কথায়, ‘‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্যই পাহাড়ে বাহিনী পাঠিয়েছে। অন্য কোনও কাজ তার পক্ষে করা সম্ভব নয়।’’

তা হলে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কি রাজ্য পুলিশ অন্য কাজ করতে বাধ্য করেছে? রবীন্দ্রন জানান, সম্প্রতি সিংলার জঙ্গলে অপারেশনের সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কথা বলেই দুই সেকশন ফোর্স চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে বোঝা যায়, ওটা ছিল ‘জঙ্গি দমন’ অভিযান। তাঁর কথায়, ‘‘যদিও ওই অপারেশনে কেন্দ্রীয় বাহিনী কোনও ‘ঘাতক’ ভূমিকায় ছিল না। তবুও মন্ত্রকের দেওয়া দায়িত্বের বাইরে আমরা অন্য কিছু করব না।’’

এ কথা শুনে রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) অনুজ শর্মা বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় রেখে নিয়ম মেনেই কাজ করা হচ্ছে।’’

সিআরপি কর্তার কথায় প্রচ্ছন্ন রাজনীতিই দেখছেন নবান্নের কর্তাদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত। কেন্দ্রীয় বাহিনী সেই কাজ করবে বলে আসলে রাজ্যের পরিস্থিতির ‘মন্দ’ দিকটিই তুলে ধরেছেন। পাশাপাশি, ‘গুরুঙ্গ ধরো’ অভিযানে কেন্দ্রীয় বাহিনী যে সামিল হবে না, তা-ও জানিয়ে দিচ্ছেন।’’

যদিও মাওবাদী অঞ্চলে যৌথ অভিযানে কেন্দ্রীয় বাহিনী সামিল ছিল বলে মনে করাচ্ছেন এই রাজ্যের পুলিশ কর্তারা। পাহাড়ে সিআরপি সেই ভূমিকা কেন নিতে চাইছে না, সেই প্রশ্নও তুলছেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক মুখপাত্র জানাচ্ছেন, মাওবাদী দমন অভিযান ছিল মূলত কেন্দ্রের। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সেই অভিযানে সব রাজ্যকে যুক্ত করেছিল। কিন্তু পাহাড়ের পরিস্থিতি ভিন্ন।

যা আবার মানতে নারাজ নবান্নের কর্তারা। তাঁদের প্রশ্ন, যদি সিআরপি কাশ্মীরে জঙ্গি দমন অভিযানে সামিল হতে পারে, তা হলে দার্জিলিংয়ে নয় কেন? এখানেও তো উত্তর-পূর্বের এবং নেপালের মাওবাদী জঙ্গি যোগ প্রমাণিত হয়েছে।

জবাবে রবীন্দ্রন বলেন, ‘‘যদি অভিযানে নামার নির্দেশ আসে, তখন তা অনুসরণ করা হবে। এখন শুধু্ আইনশৃঙ্খলা দেখবে সিআরপিএফ।’’

CRPF সিআরপিএফ
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy