আমপান-দুর্নীতিতে শাসক দলের বিরুদ্ধে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে আমজনতা। পূর্ব মেদিনীপুরে বিক্ষোভকারীদের উপর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলার অভিযোগ উঠেছিল আগেই। এ বার বিক্ষোভকারীদের হটাতে পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠল জেলারই পটাশপুরে। শুক্রবার এই ঘটনায় কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় পটাশপুর দাইতলা বাজার। জখম হন তিন সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ অন্তত ছ’জন। পুলিশ অবশ্য লাঠিচার্জের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, ছোড়া হয়েছে কাঁদানে গ্যাস।
পটাশপুর-২ ব্লকে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চন্দন সাউয়ের বিরুদ্ধে রেশন সামগ্রী বিলি এবং আমপান ক্ষতিপূরণ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ দিন পটাশপুরের হরিডাঙর মোড়ে চন্দন নিজের ইমারতি সামগ্রীর দোকানে এসে এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে পড়েন। তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া, পরিযায়ী শ্রমিকদের পর্যাপ্ত রেশন দেওয়ার দাবিতে এগরা-পটাশপুর রাস্তা অবরোধও করেন এলাকাবাসী এবং তৃণমূলেরই একাংশ কর্মী-সমর্থক।
পরে পটাশপুর থানার পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে চন্দনকে উদ্ধার করে। কিন্তু তাঁকে নিয়ে যাওয়ার সময় বাধা দেন বিক্ষোভকারীরা। তখনই উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠি চালায় বলে অভিযোগ। ক্ষিপ্ত জনতাও লাঠি, বাঁশ, ইট নিয়ে পাল্টা পুলিশকে আক্রমণ করেন। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি-সহ একাধিক বাস, লরি। আহত ছ’জনকে পটাশপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়।