প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে তাঁদের রক্ষা করা আরও কঠিন। ফণী-মোকাবিলার প্রস্তুতিতে তাই গ্রামের বাড়ি থেকে প্রসূতিদের সরিয়ে আনা হল নিরাপদ আশ্রয়ে।
শুক্রবার সুন্দরবনের বিভিন্ন দ্বীপ এলাকা থেকে ক্যানিংয়ের বিভিন্ন ব্লক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় কয়েকশো প্রসূতিকে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, এক সঙ্গে কয়েকশো গর্ভবতীকে এ ভাবে নিরাপদে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এনে তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা এই জেলায় নজিরবিহীন। আয়লার অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েই এমন উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন দফতরের আধিকারিকেরা। ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে কারও প্রসবযন্ত্রণা শুরু হলে তাঁকে হাসপাতালে আনতে অসুবিধার কথা মাথায় রেখেই তাঁদের আগেভাগে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আনা হয়। শুক্রবার বেশ কিছু গর্ভবতী সন্তান প্রসবও করেছেন বলে দফতর সূত্রের খবর।
ক্যানিং ১ ও ২, গোসাবা, বাসন্তী ব্লক হাসপাতালগুলিতে প্রসূতিদের আনা হয়েছিল। ক্যানিং ২ ব্লকের মঠেরদিঘি হাসপাতালের বিএমওএইচ হরিপদ মাঝি বলেন, ‘‘ফণী থেকে প্রসূতিদের বাঁচাতে ব্লক এলাকার ২৪ জন গর্ভবতীকে হাসপাতালে আনি। তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে শুক্রবার রাতে এক মহিলা সন্তান প্রসব করেন।’’
আয়লার সময়ে অনেক প্রসূতিই সমস্যায় পড়েছিলেন। নদীবাঁধ ভেঙে এলাকা জলে প্লাবিত হয়েছিল। রাস্তাঘাট জলে ডুবে গিয়েছিল। ওই সময়ে প্রসবযন্ত্রণা শুরু হলেও অনেক প্রসূতিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি বলে পরে খবর মেলে। স্থানীয় দাইমাদের ডেকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কোনও মতে প্রসব করানো হয়েছিল অনেককে। ত্রাণ শিবিরেও প্রসবের ঘটনা ঘটে।
ক্যানিং মহকুমার স্বাস্থ্য অধিকর্তা ইন্দ্রনীল সরকার বলেন, ‘‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে প্রসূতিদের রক্ষা করতে আমরা এ বার এই ব্যবস্থা করেছি। এ জন্য হাসপাতালে অতিরিক্ত শয্যার ব্যবস্থা ছিল। চালু ছিল মোবাইল হেলথ ইউনিট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy