Advertisement
E-Paper

আবার বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটি, আছড়ে পড়তে পারে ‘মিগজাউম’! কী বলছে হাওয়া অফিস?

বঙ্গোপসাগরে ২৬-২৭ নভেম্বর যদি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয় এবং সেই ঘূর্ণাবর্ত যদি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়, তা হলে সেই তালিকা অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়টির নাম হবে ‘মিগজাউম’। তবে এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঘোষণা করা হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৩ ১১:২৯
Cyclone may form in Bay of Bengal and Andaman Sea in end of November

—প্রতীকী ছবি।

আবার ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটি বঙ্গোপসাগরে! হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে তেমনটাই। আলিপুর হাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ২৬-২৭ নভেম্বর দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সেই ঘূর্ণাবর্ত অচিরেই পরিণত হতে পারে নিম্নচাপে। এর পর যদি সেই নিম্নচাপ আরও শক্তি বৃদ্ধি করে, তা হলে তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে অচিরেই পরিণত হতে পারে ঘূর্ণিঝড়েও। ঘূর্ণাবর্ত শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে ডিসেম্বরের গোড়ার দিকে তা বঙ্গোপসাগর উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে বলে মনে করছেন আবহবিদরা। আপাতত নভেম্বরের শেষে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয় কি না, সে দিকে সে দিকেই নজর রাখছে হাওয়া অফিস।

ঘূর্ণিঝড় আমফান আছড়ে পড়ার পর থেকে আরব সাগর এবং বঙ্গোপসাগর, অর্থাৎ উত্তর ভারত মহাসাগরে তৈরি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের জন্য একটি তালিকা প্রস্তুত করার সিদ্ধান্ত নেয় আন্তর্জাতিক আবহাওয়া দফতর (ওয়ার্ল্ড মিটিওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট)। ২০২০ সালে মৌসম ভবনের তরফে ১৬৯টি ঘূর্ণিঝড়ের সেই তালিকা দেওয়া হয়েছিল। বঙ্গোপসাগরে ২৬-২৭ নভেম্বর যদি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয় এবং সেই ঘূর্ণাবর্ত যদি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়, তা হলে সেই তালিকা অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়টির নাম হবে ‘মিগজাউম’। তবে এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঘোষণা করা হয়নি। বাংলায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে কি না, তা-ও জানানো হয়নি।

প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেই বাংলাদেশ উপকূলে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় মেধিলি। গত ১৭ নভেম্বর উত্তর-পশ্চিম এবং তৎসংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে থাকা ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের খেপুপাড়া উপকূলে আছড়ে পড়ে। সেই আবহেই আবার ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগরে।

পাশাপাশি, হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার কলকাতার বেশ কিছু এলাকার তাপমাত্রা ছিল এই মরসুমে সবচেয়ে কম। বৃহস্পতিবার প্রথম কলকাতার তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে। শুক্রবারও তা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচেই রয়েছে। শুক্রবার দমদম এবং আলিপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮.৯ ডিগ্রি। স্বাভাবিকের থেকে কম। এ ছাড়া বর্ধমান এবং বাঁকুড়াতে তাপমাত্রা নেমেছে ১৫ ডিগ্রির নীচে। নদিয়া-মুর্শিদাবাদেও ২০ ডিগ্রির নীচে ছিল তাপমাত্রা।

দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে থাকা শীত শীত ভাব নভেম্বরের বাকি দিনগুলিতেও থাকবে বলে আশ্বস্ত করেছে হাওয়া অফিস। তবে কড়া শীত পড়তে আর বেশি দূরে নেই বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। পৌষ মাস আসতে এখনও দিন ২০ বাকি। এক সপ্তাহ পরে ডিসেম্বর। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আর দু’তিন দিনের মধ্যেই উত্তুরে হিমেল হাওয়া দক্ষিণবঙ্গে ঢুকতে শুরু করবে। ফলে আরও কমবে তাপমাত্রা।

Bay Of Bengal Andaman Sea Cyclone
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy