মঙ্গলবার কেতুগ্রামের গোমাই গ্রামে চলছে পুজোপাঠ ও যজ্ঞ। —নিজস্ব চিত্র।
একে করোনার আতঙ্ক। তার উপর ইয়াসের তাণ্ডবের ভ্রূকুটি। জোড়া বিপত্তির থেকে রেহাই পেতে পুজোপাঠ ও যজ্ঞ করলেন পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের এক দল বাসিন্দা। মঙ্গলবার কেতুগ্রামের গোমাই গ্রামে ওই বাসিন্দাদের প্রার্থনা, করোনাভাইরাস এবং ইয়াসের হাত থেকে তাঁদের রক্ষা করুন ঈশ্বর।
কেতুগ্রাম থানা এলাকায় গোমাই গ্রামটি বর্ধিষ্ণু বলেই পরিচিত। করোনা পর্বের আগে বছরভর পার্বণ লেগেই থাকত। তবে রাজ্যের অন্যান্য জেলার মতো পূর্ব বর্ধমানেও সংক্রমণ বাড়তে থাকায় বছর দুয়েক হল সে সবে ছেদ পড়েছে। এই আবহে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের আছড়ে পড়ার খবরে আতঙ্ক বেড়েছে বই কমেনি। স্থানীয় সূত্রে খবর, করোনার সংক্রমণ ও ইয়াসের তাণ্ডব থেকে ধনেপ্রাণে বাঁচতে মঙ্গলবার গ্রামে দুর্গা, শিব এবং নারায়ণের পুজো করা হয়। গ্রামের পুজারী বুদ্ধদেব পাঠক বলেন, “শিব-দুর্গা-নারায়ণ ঠাকুরের পুজো ছাড়াও মধুসূদন এবং নারায়ণমন্ত্র জপ হয়েছে। সঙ্গে গীতাপাঠও করা হয়।” তিনি আরও বলেন, “গ্রামের কয়েক জন মিলে দেবদেবীর কাছে আকুল প্রার্থনা জানিয়েছি। ঈশ্বরই গ্রামবাসীদের করোনা ও ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কবল থেকে রক্ষা করবেন।”
গোমাই গ্রামের বাসিন্দা সাগ্নিক চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, করোনা থাবা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না গোমাই গ্রামের মানুষজনও। তিনি বলেন, “সংক্রমণের কারণে গ্রামবাসীর জীবন-জীবিকাতেও টান পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রবল শক্তি নিয়ে রাজ্যে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। তাতে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হবে, তা ভেবেই দিশেহারা গ্রামবাসীরা। অনেকেই মনে করেছেন যে একমাত্র ঈশ্বরই তাঁদের করোনা এবং ইয়াসের কবল থেকে রক্ষা করতে পারেন। সে কারণেই কোভিডবিধি মেনে গ্রামে দেবদেবীর পুজোপাঠ ও হোমযজ্ঞের আয়োজন করা হয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy