Advertisement
E-Paper

সম্পত্তির লোভে মা-বাবাকে খুন! হাবড়ায় জামাইয়ের পর গ্রেফতার মেয়ে

গত ১৫ সেপ্টেম্বর উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার টুনিঘাটা মণ্ডল পাড়ায় খুন হন রামকৃষ্ণ মণ্ডল এবং তাঁর স্ত্রী লীলা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২০ ১৬:৩৬
আদালতে তোলা হচ্ছে ধৃত নিবেদিতা সাধুকে। নিজস্ব চিত্র

আদালতে তোলা হচ্ছে ধৃত নিবেদিতা সাধুকে। নিজস্ব চিত্র

হাবড়ায় দম্পতি খুনের ঘটনায় জামাইকে গ্রেফতার করা হয়েছিল আগেই। শনিবার পুলিশের জালে ধরা পড়ল মেয়েও। তদন্তকারীদের ধারণা, সম্পত্তির লোভে ওই দম্পতিকে গুলি করে খুনের পিছনে ছিল মেয়ে ও জামাই। পুলিশের দাবি, তদন্তের মোড় অন্য দিকে ঘোরানোর জন্য ইচ্ছাকৃত ভাবে পুলিশের কাছে ভিন্ন বয়ান দিয়েছিল তারা। তবে ওই কাণ্ডে কোনও পেশাদার খুনিকে কাজে লাগানো হয়েছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এ যেন ছিল রুমাল, হয়ে গেল বিড়াল! গত ১৫ সেপ্টেম্বর উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার টুনিঘাটা মণ্ডল পাড়ায় খুন হন রামকৃষ্ণ মণ্ডল এবং তাঁর স্ত্রী লীলা। প্রাথমিক ভাবে জানা যায়, হত্যাকারী ছাদের দরজার তালা ভেঙে বামকৃষ্ণের বাড়িতে ঢোকে। চোর এসেছে সন্দেহ করে ঘরের বাইরে বেরোতেই প্রথমে লীলা এবং পরে রামকৃষ্ণকে গুলি করে খুন করে হত্যাকারী। ওই ঘটনায় অভিযোগ ওঠে, তন্ময় বর নামে স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে। তন্ময় কাশীপুর কলতলা এলাকার বাসিন্দা। নিহত দম্পতির মেয়ে নিবেদিতা সাধু এবং জামাই বান্টিও তন্ময়ের বিরুদ্ধে বয়ান দেয়। পুলিশ প্রাথমিক ভাবে তন্ময়কে গ্রেফতারও করে।

কিন্তু কিছু দিনের মধ্যেই তদন্তের মোড় ঘুরে যায় সম্পূর্ণ উল্টোদিকে। পুলিশ নানা ভাবে জেরা করে এবং পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে জানতে পারে, ওই হত্যাকাণ্ডে তন্ময়ের কোনও হাত-ই নেই। এর পরই তদন্তকারীদের নজর যায় বান্টি এবং নিবেদিতার দিকে। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, বাজারে বিপুল টাকা দেনা রয়েছে রামকৃষ্ণ এবং লীলার জামাই বান্টির। এর পর পুলিশের সন্দেহ আরও পোক্ত হয়। গত ২৪ সেপ্টেম্বর বান্টিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, জেরায় বান্টি শ্বশুর-শাশুড়িকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।

আরও পড়ুন: লালা কোথায়? কয়লা-কাণ্ডে রাজ্য জুড়ে সিবিআই তল্লাশি

আরও পড়ুন: খেজুরি উত্তপ্ত, তৃণমূলের ৬ অফিস ভাঙচুর, ‘দখল’ নিল বিজেপি

বান্টিকে গ্রেফতারের সময় থেকেই নিবেদিতাকে খুঁজছিলেন তদন্তকারীরা। তার গতিবিধির উপর নজর রাখা হচ্ছিল। শনিবার ভোরে হাবড়ার জয়গাছির বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বারাসতের পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘হত্যাকাণ্ডে মেয়ের যোগসাজশ ছিল। আমরা সেটা বুঝতে পেরেছিলাম। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’

অপরাধ করে তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা। নিজেদের দিক থেকে নজর ঘুরিয়ে দিতে ইচ্ছাকৃত ভাবে পুলিশের কাছে ভিন্ন বয়ান দেওয়া। অন্যের উপর সন্দেহ তৈরি করা। এ যেন টানটান গোয়েন্দা কাহিনি। কিন্তু এত করেও শেষরক্ষা হল না বান্টি-নিবেদিতা জুটির।

Murder Arrest Barasat
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy