Advertisement
E-Paper

গণিত গবেষকের ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার উলুবেড়িয়ায়

কলকাতার বাঁশদ্রোণী গোষ্ঠতলার বাসিন্দা নিখোঁজ গণিতের গবেষক নির্মাল্য বরাটের দেহ মিলল উলুবেড়িয়া থেকে। গত ২৮ অগস্ট থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:০০

কলকাতার বাঁশদ্রোণী গোষ্ঠতলার বাসিন্দা নিখোঁজ গণিতের গবেষক নির্মাল্য বরাটের দেহ মিলল উলুবেড়িয়া থেকে। গত ২৮ অগস্ট থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।

শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া-খড়্গপুর বিভাগের দেউলটি এবং ঘোড়াঘাটা স্টেশনের মাঝ থেকে উলুবেড়িয়ার জিআরপি বছর পঞ্চাশের এক ব্যক্তির কাটা দেহ উদ্ধার করে। ডাউন লাইনের ধারে ডান পা কাটা দেহটি দেখে জিআরপি পুলিশে জানায়। পরে নিখোঁজ গণিত গবেষকের দেহ শনাক্ত করে যান তাঁর পরিবারের এক সদস্য। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে নির্মাল্যবাবুর।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উলুবেড়িয়া থেকে বাঁশদ্রোণী থানায় যোগাযোগ করেই তাঁর পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। তারপরেই নির্মাল্যবাবুর এক আত্মীয় শ্রেয় গুপ্তকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর স্ত্রী চন্দনা বরাট উলুবেড়িয়ায় যান। কিন্তু তিনি দেহ শনাক্ত করা আগেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। চন্দনাদেবী এক বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউ-য়ে ভর্তি।

শ্রেয়বাবু জানান, চন্দনাদেবী শনাক্ত করতে না পারায় তিনিই প্রাথমিক ভাবে দেহ শনাক্ত করেছেন। কিন্তু পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রী শনাক্ত না করলে দেহ হস্তান্তর হবে না। তাই চন্দনাদেবীর লিখিত অনুমতি নিয়ে তাঁর নাবালক ছেলে অর্কদীপ আজ, রবিবার দেহ আনতে যেতে পারে। ইতিমধ্যেই শনিবার উলুবেড়িয়া হাসপাতালের মর্গে নির্মাল্যবাবুর দেহের ময়না-তদন্ত হয়েছে।

পুলিশ ও নির্মাল্যবাবুর পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, আলবানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে পিএইচডি করার পর নির্মাল্য এবং তাঁর স্ত্রী কলকাতায় ফিরে আসেন। চন্দনাদেবী সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিতের শিক্ষকতা শুরু করেন। নির্মাল্যবাবু অবশ্য গবেষণাতেই ব্যস্ত ছিলেন। থাকতেন বাঁশদ্রোণী থানার ব্রহ্মপুরের একটি ফ্ল্যাটে। তাঁদের ছেলে অর্কদীপ একাদশ শ্রেণির ছাত্র। নির্মাল্যবাবুর বাবা অসুস্থ, শয্যশায়ী।

পরিবারের দাবি, গত ২৮ অগস্ট সন্ধ্যায় তিনি মিনিট পাঁচের জন্য পাড়ার দোকানে যাচ্ছেন বলে বেরিয়েছিলেন। আর ফেরেননি। বাড়িতে পড়েছিল মোবাইলও।

কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁর পরিবার বাঁশদ্রোণী থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তার পরেই বাঁশদ্রোণী থানার বিভিন্ন জায়গায় নির্মাল্যবাবুর ছবি পাঠায়। দেহটি উদ্ধারের পর ছবির সূত্রেই ধরেই বাঁশদ্রোণী থানায় যোগাযোগ করে জিআরপি।

এ দিকে পাড়ার দোকানে যাওয়ার নাম করে তিনি কেন দেউলটিতে এসেছিলেন বা তাঁর মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কিনা তা নিয়ে তাঁর পরিবারের লোকজনের মধ্যে রহস্য দানা বেঁধেছে।

পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন কিনা জানতে চাইলে শ্রেয় গুপ্ত বলেন, ‘‘এখন চন্দনাদেবীকে নিয়ে ব্যস্ত। মৃতদেহ হাতে পেলে বাকিটা ভাবব।’’

Dead Body Mathematician Uluberia Bansdroni বাঁশদ্রোণী উলুবেড়িয়া
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy