কামদুনির ধর্ষকরা দোষী সাব্যস্ত হয়েছে বৃহস্পতিবারই। সাজা কী হতে চলেছে? ফাসি হবে? না কি যাবজ্জীবন কারদণ্ড? সেই বিষয়ে শুনানি আজ। ব্যাঙ্কশাল কোর্ট চত্বরে সকাল থেকেই কড়া নিরাপত্তার আয়োজন। দুপুর আড়াইটে নাগাদ শুনানি শুরু হবে।
কামদুনিতে কলেজ ছাত্রীর গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনার আড়াই বছর পর মামলার রায় ঘোষিত হয়েছে বৃহস্পতিবার। বিচারক সঞ্চিতা সরকার রায় ঘোষণার সময়ই জানান, সইফুল আলি মোল্লা, আনসার আলি এবং আমিন আলি মৃত্যুদণ্ড পাওয়ার মতো অপরাধ করেছে। বাকি তিন অপরাধী রফিকুল ইসলাম, ভোলানাথ নস্কর এবং আমিনুল ইলামের ফাঁসি না হলেও, তাদের অপরাধও যে মারাত্মক, তা বুঝিয়ে দেন বিচারক। তিনি নিজের পর্যবেক্ষণে জানান, আমৃত্যু জেলে কাটাতে হতে পারে তাদের।
আরও পড়ুন:
মুখ্যমন্ত্রীর গলাটা যে এখনও শুনতে পাই
কঠোরতম সাজার হাত থেক নিজের মক্কেলদের বাঁচাতে আসামিদের আইনজীবী ফিরোজ এদুলজি সাজা ঘোষণা না করার জন্য বিচারকের কাছে আবেদন জানান। সাজার পরিমাণ নির্ধারণের জন্য আরও এক বার শুনানি গ্রহণের আর্জি রাখেন তিনি। বিচারক সেই আর্জি মেনে নেন। তবে জানিয়ে দেন শুক্রবারই সেই শুনানি হবে। কামদুনির ধর্ষকদের সাজা ঘোষণায় তিনি যে দেরি করতে একেবারেই নারাজ, তা বুঝিয়ে দেন বিচারক। দুপুর আড়াইটে থেকে শুনানির কথা থাকলেও, সকাল থেকেই কড়া নিরপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে ব্যাঙ্কশাল কোর্ট চত্বরে। শুনানি এ দিনই শেষ করে দেওয়া হবে, না কি এর পরও শুনানির তারিখ দেওয়া হবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে সাজার পরিমাণ নিয়ে শুনানির জন্য বেশি সময় দেওয়া হবে না বলেই আদালত সূত্রে খবর।
কামদুনি মামলার ৮ অভিযুক্তের মধ্যে ৬ জন বৃহস্পতিবার দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস করা হয়েছে দু’জনকে। রায়ের প্রতিলিপি আজ, শুক্রবার প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছনোর পর তারা ছাড়া পাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy