Advertisement
E-Paper

ভোট গ্রহণের সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত হল না সর্বদলে

শাসক দল চায়, কিন্তু বিরোধীদের আপত্তি। শেষ পর্যন্ত পুর-নির্বাচনে ভোটগ্রহণের সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারের কোর্টে বল ঠেলে দিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সুশান্তরঞ্জন উপাধ্যায়। শনিবার কমিশনে সবর্দল বৈঠকের পরে তিনি বলেন, “আমরা এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নেব না। সর্বদলীয় বৈঠকের আলোচনা আমরা রাজ্য সরকারকে জানাব।” নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত না নিয়ে রাজ্য সরকারের ঘাড়ে পুরো দায় চাপাচ্ছে কেন?

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৫ ০৩:২৪
নির্বাচন কমিশনের অফিসে শনিবার সর্বদলীয় বৈঠক।—নিজস্ব চিত্র।

নির্বাচন কমিশনের অফিসে শনিবার সর্বদলীয় বৈঠক।—নিজস্ব চিত্র।

শাসক দল চায়, কিন্তু বিরোধীদের আপত্তি। শেষ পর্যন্ত পুর-নির্বাচনে ভোটগ্রহণের সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারের কোর্টে বল ঠেলে দিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সুশান্তরঞ্জন উপাধ্যায়।

শনিবার কমিশনে সবর্দল বৈঠকের পরে তিনি বলেন, “আমরা এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নেব না। সর্বদলীয় বৈঠকের আলোচনা আমরা রাজ্য সরকারকে জানাব।”

নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত না নিয়ে রাজ্য সরকারের ঘাড়ে পুরো দায় চাপাচ্ছে কেন?

সুশান্তরঞ্জনবাবুর বক্তব্য, “পশ্চিমবঙ্গ পুর-নির্বাচন আইনের ৮ নম্বর ধারায় বলা আছে, ভোটের দিন ও সময় ঠিক করবে রাজ্য সরকার।” কিন্তু বিজ্ঞপ্তি জারির পরে কি সময় পরিবর্তন করা যায়? রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের জবাব, “লোকসভা নির্বাচনে সময় পরিবর্তনের নজির আছে। যদিও এ রাজ্যে পুর ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটগ্রহণের সময়সীমা পরিবর্তনের নজির নেই।”

পুর-নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ভোটগ্রহণের সময় সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৩টে। কিন্তু শাসক দল তৃণমূল চায়, ভোটগ্রহণ চলুক বিকেল ৫টা পর্যন্ত। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে সেই দাবিও তারা জানিয়ে এসেছে। তারই প্রেক্ষিতে এ দিন সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিল কমিশন। কিন্তু বৈঠকে হাজির সিপিএম, ফরোয়ার্ড ব্লক, সিপিআই, আরএসপি তথা বামফ্রন্টের প্রতিনিধিরা এবং বিজেপি ও কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা সময়সীমা বাড়ানো নিয়ে তাঁদের আপত্তির কথা জানান। তবে বিরোধীদের আপত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “সময় বেশি থাকলে তো মানুষের ভোট দেওয়ার সুবিধাই হবে। হারের ব্যবধান বেড়ে যাওয়ার ভয়েই এঁরা আপত্তি তুলছেন।” বিজেপির প্রতিনিধিদের পাল্টা বক্তব্য, “বাড়তি দু’ঘণ্টা মানে তৃণমূলকে আরও বেশি ভোট লুঠের সুবিধা করে দেওয়া।”

তা হলে ভোটগ্রহণের সময়সীমা শেষ পযর্ন্ত কী হবে?

পুরমন্ত্রী বলেন, “আমরা দলীয় ভাবে ভোটগ্রহণের সময় সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত করতে আগ্রহী। তবে কমিশনের নির্দেশ বা প্রস্তাব পাওয়ার পরই বিষয়টি বিবেচনা করবে সরকার।”

Decision pending election commission poll timing state news
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy