রায়গঞ্জ সিপিএমকে ছেড়ে দেওয়ার পরে এ বার উত্তর মালদহে দীপা দাশমুন্সিকে প্রার্থী করার জন্য ফের সওয়াল শুরু হল কংগ্রেসে।
বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের সমঝোতায় এ বার গোড়া থেকেই জটিলতা তৈরি হয়েছিল রায়গঞ্জ আসন ঘিরে। গত বার অল্প ভোটে হেরে যাওয়া ওই আসনেই তিনি ফের দাঁড়াতে চান বলে দলকে জানিয়েছিলেন দীপা। শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর হস্তক্ষেপে রায়গঞ্জ আসন সিপিএমকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হওয়ার পর থেকেই দীপাকে নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছিল। বিজেপির তরফেও প্রচার চালানো হচ্ছিল, ক্ষুব্ধ দীপা তাদের টিকিটে রায়গঞ্জে প্রার্থী হবেন। সেই জল্পনাতেই মঙ্গলবার জল ঢালার চেষ্টা করেছেন প্রাক্তন সাংসদ। এবং তাঁর এই অবস্থান জানার পরেই এখন আবার কংগ্রেসের একাংশ চেষ্টা শুরু করেছে তাঁকে উত্তর মালদহ থেকে প্রার্থী করার।
জল্পনা উড়িয়ে প্রয়াত প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির স্ত্রীর বক্তব্য, ‘‘বিজেপিতে আমি যাচ্ছি না। যাওয়ার কোনও প্রশ্নও ওঠে না।’’ বিজেপি নেতা মুকুল রায় অবশ্য দীপাকে ফোন করে গেরুয়া শিবিরে আসার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। রাজি হননি প্রিয়-জায়া। তৃণমূলের তরফে কেউ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেনি এবং কংগ্রেস ছেড়ে কোনও দলেই তিনি যাচ্ছেন না বলে দীপার দাবি। তাঁর কথায়, ‘‘কংগ্রেসের সিদ্ধান্তই আমার সিদ্ধান্ত।’’
রায়গঞ্জ নিয়ে টানাপড়েন হচ্ছে দেখে আবু হাসেম (ডালু) খান চৌধুরী প্রথমেই প্রস্তাব দিয়েছিলেন দীপাকে উত্তর মালদহে সরে আসার জন্য। তখন দীপা নিজেই রাজি হননি। কিন্তু এখন সিপিএম বিধায়ক খগেন মুর্মুকে দলে নেওয়ার পরে বিজেপি তাঁকেই উত্তর মালদহে প্রার্থী করবে, এমন সম্ভাবনা জোরালো। কংগ্রেস নেতৃত্ব ও মালদহের বিধায়কদের একাংশের অঙ্ক, এক দিকে তৃণমূলের মৌসম বেনজির নূর এবং একই পরিবার থেকে কংগ্রেসের ইশা খান চৌধুরী থাকলে অন্য দিকে খগেনকে রেখে ভোট মেরুকরণ করতে বিজেপির সুবিধা হবে। তার চেয়ে দীপা প্রার্থী হলে বিজেপির অসুবিধা হবে, কংগ্রেসও দু’দিক রাখতে পারবে। দীপা নিজে বলছেন, তিনি দলের কাছে দ্বিতীয় কোনও কেন্দ্র দাবি করেননি। তবে দীপা-ঘনিষ্ঠ এক নেতার বক্তব্য, ‘‘ডালুবাবু, শঙ্কর মালাকার ও নেপাল মাহাতো— কংগ্রেসের তিন কার্যকরী সভাপতিই প্রার্থী হবেন। ওই একই পদে থেকে দীপাদি’রও তা হলে একটা আসন পাওয়া উচিত!’’
প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশের অবশ্য যুক্তি, ইশাকে সামনে রেখেই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এখন আবার নতুন করে শুরু করার সিদ্ধান্ত শুধু ডালুবাবুই নিতে পারেন।
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এমতাবস্থায় কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনার স্বার্থে বামেদের প্রথম তালিকা প্রকাশ আজ, বুধবারের বদলে কয়েক দিন পিছোতে পারে। বামফ্রন্টের বৈঠক হবে আজ। তার পরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy