Advertisement
E-Paper

‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে প্রত্যাশার শীর্ষে কর্মসংস্থান

তৃণমূল জমানায় রাস্তাঘাট, আলো এবং পানীয় জলের ব্যবস্থা হয়েছে। শহরাঞ্চল তো বটেই, গ্রামীণ এলাকাতেও এই ধরনের কাজ মানুষের চোখে পড়ছে। তবে রোজগার নিয়ে চাহিদা বেড়েছে।

রবিশঙ্কর দত্ত 

শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০১৯ ০৩:৪০
‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে জনসংযোগ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। নিজস্ব চিত্র

‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে জনসংযোগ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। নিজস্ব চিত্র

‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে রাজ্য জুড়ে কর্মসংস্থানের চাহিদাই সবার উপরে। জনসংযোগের দ্বিতীয় দফা শেষের আগে এই তথ্যই এসেছে তৃণমূল নেতৃত্বের হাতে। সরকারি চাকরি তো বটেই অন্য কোনও সংগঠিত শিল্প বা সংস্থায় কাজ চাইছেন বেশির ভাগ মানুষ। সেই চাহিদা নিয়ে করণীয় কী, ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে তা-ই বিশ্লেষণ করছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

তৃণমূল জমানায় রাস্তাঘাট, আলো এবং পানীয় জলের ব্যবস্থা হয়েছে। শহরাঞ্চল তো বটেই, গ্রামীণ এলাকাতেও এই ধরনের কাজ মানুষের চোখে পড়ছে। তবে রোজগার নিয়ে চাহিদা বেড়েছে। প্রশান্তের সংস্থার পরামর্শে গ্রামে গ্রামে গিয়ে তার মুখোমুখি হচ্ছেন জনপ্রতিনিধিরা। রাজ্যের বেশির ভাগ জেলায় বিধায়কদেরই এ ব্যাপারে অভিজ্ঞতা এক। দক্ষিণ কলকাতার এক ‘হেভিওয়েট’ মন্ত্রী তাঁর কেন্দ্রে জনসংযোগে যে আবেদন পেয়েছেন, তাঁর বেশির ভাগই চাকরি সংক্রান্ত। একই অভিজ্ঞতা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার আর এক ‘হেভিওয়েট’ বিধায়কের। ওই বিধায়কের কথায়, ‘‘রোজগার চেয়েই বেশি আবেদন পেয়েছি। ১০ জনের মধ্য ৮-৯ জনই কাজ চান।’’

উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া, দুই মেদিনীপুরেও বিধায়কেরা কর্মসংস্থানের কথা বেশি শুনেছেন। এ নিয়ে প্রত্যাশীদের তাৎক্ষণিক কোনও উত্তর দিতে পারছেন না তাঁরা। আবেদনকারীর নাম-ঠিকানা নিলেও তা নিয়ে আশ্বস্ত করতে পারছেন না জনপ্রতিনিধিরা।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পরে ‘খাদ্যসাথী’, ‘কন্যাশ্রী’, ‘সুবজসাথী’র মতো কিছু প্রকল্প চালু করেছেন। এই প্রকল্পগুলিতে বড় সংখ্যক মানুষ উপকৃত হয়েছেন। জনসংযোগের সময় তা জেনেছেন জনপ্রতিনিধিরা। তবে গ্রামাঞ্চলে বিধবা-ভাতা ও বার্ধক্য-ভাতার চাহিদাও খুব বেশি। পাশাপাশি এই সাহায্য পাওয়া নিয়ে অভিযোগও রয়েছে নানা রকম। প্রশান্তের সংস্থার প্রতিনিধিরা বিধায়কদের কাছ থেকে যে তথ্য পেয়েছেন, তাতে এই রকম ঘটনা রয়েছে প্রচুর। তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, ‘‘যে সব তথ্য এসেছে, তাতে রাস্তাঘাট, জল, হাসপাতালের কথা আছে। তবে মানুষের ব্যক্তিগত চাহিদা হিসেবে কাজের বিষয়টিও এসেছে।’’ একশো দিনের কাজ চললেও তাতে নিয়ে অনিয়মের অভিযোগও পেয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা।

জনসংযোগের নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে বিধায়কেরা এ সবই পাঠাচ্ছেন ‘টিম প্রশান্তে’র কাছে। তবে এই ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে প্রশান্তের সংস্থা ‘আইপ্যাক’-এর তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

বেশ কিছু জেলায় জনসংযোগের দ্বিতীয় পর্যায় শেষের মুখে। কয়েকটি জেলায় তৃতীয় পর্যায় শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় সাংগঠনিক স্তরে আলোচনাও চলছে এই কর্মসূচি নিয়ে। সম্প্রতি জেলা সফরে চাহিদার আভাস পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেও। পূর্ব মেদিনীপুরের প্রশাসনিক বৈঠকে জেলার পরিষদের এক কর্মাধ্যক্ষ শিক্ষক নিয়োগ চালু করার আর্জি জানিয়েছিলেন। একই ভাবে সরকারি চাকরির জন্য দলীয় বৈঠকে আর্জি জানিয়েছিলেন দলেরই এক বিধায়ক।

Didi Ke Bolo Campaign Prashant Kishor Employment
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy