Advertisement
E-Paper

জ্বর ও ডেঙ্গিতে মৃত আরও ৪

শনিবার ভোরে অশোকনগরের বাগপাড়ার বাসিন্দা অণিমা মণ্ডলের (৩৩) মৃত্যু হয় বারাসতের একটি নার্সিংহোমে। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর শংসাপত্রে ডেঙ্গির কথা উল্লেখ করেছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:১২
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

ফের জ্বর-ডেঙ্গিতে চার জনের মৃত্যু হল রাজ্যে। উঠল চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগও।

শনিবার ভোরে অশোকনগরের বাগপাড়ার বাসিন্দা অণিমা মণ্ডলের (৩৩) মৃত্যু হয় বারাসতের একটি নার্সিংহোমে। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর শংসাপত্রে ডেঙ্গির কথা উল্লেখ করেছেন। মৃত বাকি তিন জন হলেন দত্তপুকুরের সাহিরা পরভিন (২৬), রায়গঞ্জের বাপ্পা সরকার (২৭) এবং মালদহের সমাপ্তি দাস (২৬)। কারও মৃত্যুর শংসাপত্রে লেখা হয়েছে ‘রেসপিরেটরি ফেলিওর’, কারও বা ‘মাল্টি-অরগ্যান ফেলিওর’। যদিও প্রত্যেকেরই পরিবারের দাবি, তাঁদের ডেঙ্গির উপসর্গ ছিল।

অশোকনগরের অণিমা জ্বরে আক্রান্ত হন দিন পনেরো আগে। তাঁকে প্রথমে অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। রক্ত পরীক্ষায় ‘এনএস-১ পজিটিভ’ মেলে। অবস্থার অবনতি হলে বারাসত জেলা হাসপাতাল, তার পরে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কোথাও যথাযথ চিকিৎসা মেলেনি বলে তাঁর পরিবারের অভিযোগ। ১ নভেম্বর বারাসতের নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয় অণিমাকে। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। অশোকনগর থানা এলাকায় এর আগে জ্বরে মৃত্যু হয় ছ’জনের।

অণিমার মেয়ে অনামিকার ক্ষোভ, ‘‘সরকারি হাসপাতালে ভাল চিকিৎসা হলে হয়তো মাকে এ ভাবে মরতে হতো না।’’ বাগপাড়া এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, এখানে মশা মারার কাজে গতি নেই। সব জায়গায় তেলও ছড়ানো হচ্ছে না।

শুক্রবার রাতে দত্তপুকুরের জয়পুল এলাকার বাসিন্দা, জ্বরে আক্রান্ত সাহিরা পরভিনের মৃত্যু হয় বারাসত জেলা হাসপাতালে।

রায়গঞ্জের মনিপাড়া ফরেস্টমোড় এলাকার বাসিন্দা বাপ্পার মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে শুক্রবার গভীর রাতে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো হয়। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, ডেঙ্গি ধামাচাপা দিতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাপ্পাকে অন্যত্র ‘রেফার’ করেননি, বেসরকারি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরির রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টও ফেরত দেননি। ডেথ সার্টিফিকেটে বাপ্পার মৃত্যুর কারণ ‘মাল্টি অরগ্যান ফেলিওর ডিউ টু সেপ্টিসেমিয়া অ্যান্ড এনএস-ওয়ান পজিটিভ’ লেখা হয়েছে। উত্তর দিনাজপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা বলেন, ‘‘এনএস-১ পজিটিভ হলেই রোগী ডেঙ্গিতে আক্রান্ত, সেই ধারণা ঠিক নয়। ওই যুবকের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিল। শরীরে সংক্রমণও হয়েছিল।’’

বৃহস্পতিবার মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল ইংরেজবাজারের পুরাটুলি এলাকার বাসিন্দা সমাপ্তিকে। কিন্তু সঠিক চিকিত্সা হচ্ছে না, অভিযোগ তুলে শুক্রবার বিকেলে তাঁকে একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে তিনি মারা যান। ডেথ সার্টিফিকেটে লেখা হয়েছে, ‘কার্ডিও রেসপিটরি ফেলিওর ইন সেপটিক শক’।

Dengue ডেঙ্গি Mosquitoes
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy