Advertisement
E-Paper

এখনও অজানা মরা মাছের উৎস

মহানন্দায় ভেসে ওঠা মরা, আধমরা মাছ কোথা থেকে এল তা নিয়ে এখনও অন্ধকারে প্রশাসন। শনিবারই মৎস্য দফতরকে ঘটনার রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছিল জেলা প্রশাসনের তরফ থকে। তারপরে রবিবার পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে পুলিশকে মাছের উৎস খুঁজতে কোনও তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়নি বলে সরকারি সূত্রের খবর।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:০০
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

মহানন্দায় ভেসে ওঠা মরা, আধমরা মাছ কোথা থেকে এল তা নিয়ে এখনও অন্ধকারে প্রশাসন। শনিবারই মৎস্য দফতরকে ঘটনার রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছিল জেলা প্রশাসনের তরফ থকে। তারপরে রবিবার পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে পুলিশকে মাছের উৎস খুঁজতে কোনও তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়নি বলে সরকারি সূত্রের খবর। দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক জয়সী দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘আমরা মৎস্য দফতরের তদন্ত রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি। তারপরেই সবকিছু বিস্তারিতভাবে বলা সম্ভব।’’

শনিবারের ঘটনার পরে নদীর জল পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেছে মৎস্য দফতর। কিন্তু কোনও মৃত মাছ সংগ্রহ করা হয়নি বলেই জানানো হয়েছে মৎস্য দফতরের তরফে। এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরিবেশবিদেরা। তাঁরা মনে করছেন মরা মাছ না পাওয়ায় মাছের দেহে কোনও বিষক্রিয়া হয়েছিল কিনা তা জানার কোনও উপায় থাকল না। পরিবেশবিদদের অভিযোগ, প্রশাসনের তরফে একটা গা ছাড়া ভাব রয়েছে। তাঁদের দাবি, এত মাছ জলে ভেসে এল। এতে নদী দূষণের বিষয়গুলো দেখা দরকার। শনিবার দুপুরে রুই-কাতলার পোনা, বাটা, আমেরিকান রুই, বান ও একাধিক মরা মাছ ভেসে আসতে থাকে মহানন্দায়। চম্পাসারি থেকে শুরু করে নৌকাঘাট পর্যন্ত নদী জুড়ে মরা ও আধমরা মাছ ধরার হিড়িক পড়ে যায়।

ররিবার মহানন্দায় নতুন করে মাছ ভেসে ওঠেনি। তবে এলাকার কিছু উৎসাহী খুদে এ দিনও ওৎ পেতে ছিল নতুন করে মাছ ভেসে আসার অপেক্ষায়। ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ভিকি রজক বলেন, ‘‘আমরা কাল যে মাছ ধরেছিলাম, সেগুলো খেয়ে ফেলেছি। কিছুই হয়নি।’’ এ দিন শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল সূত্রেও জানান হয়েছে, মাছ খেয়ে অসুস্থ কোনও রোগী আসেননি।

হিমালয়ান নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের কো-অর্ডিনেটর অনিমেষ বসু বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গের নদীগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দূষিত নদীর তালিকায় মহানন্দা রয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত।’’ শনিবার নদী সংলগ্ন এলাকায় মাছ না খাওয়ার জন্য মাইক প্রচার হয়েছিল। রবিবার পুরসভা বা প্রশাসনের তরফে নতুন কোনও প্রচার অভিযান করা হয়নি।

Department of Fisheries Fish
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy