Advertisement
০৬ মে ২০২৪
Election commission

বুথের গুরুত্ব বুঝে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার নির্দেশ কমিশন কর্তা জৈনের

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘‘নির্বাচন কমিশনের কেউ কেউ দায়িত্ব নিয়ে এ রাজ্যে এসেছেন। তাঁদের কার্যকলাপ সংবিধান পরিপন্থী বলে মনে হচ্ছে।’’

উপনির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। ছবি পিটিআই

উপনির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। ছবি পিটিআই

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ২২:২৫
Share: Save:

পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি বুথই ‘গুরুত্বপূর্ণ’। সেই ‘গুরুত্ব বুঝে’ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্যকে। উপনির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন এমনই মন্তব্য করলেন বৃহস্পতিবার। করোনা আবহে পশ্চিমবঙ্গে ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে কলকাতায় দিনভর বৈঠক করলেন সুদীপ। সূত্রের খবর, সেখানেই প্রশাসনিক কর্তাদের তিনি নির্দেশ দেন আইনশৃঙ্খলার উপর কড়া নজর রাখতে হবে।

বৃহস্পতিবার রাজ্যের পুলিশ এবং প্রশাসনিক কর্তাদের পাশাপাশি প্রধান রাজনৈতিক দলগুলিকেও সময় দেওয়া হয়েছিল। বিজেপির ভারতী ঘোষ, শিশির বাজোরিয়া, সব্যসাচী দত্ত, সিপিএমের শমীক লাহিড়ী, সিপিআইয়ের প্রবীর দেব, অশোক রায়, তৃণমূলের পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি-র মতো নেতারা পৃথক বৈঠক করেন নির্বাচন কমিশনের কর্তাদের সঙ্গে।

মধ্য কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমে ১৪টি জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং পুলিশ কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করলেন জৈন। দ্বিতীয়ার্ধে রাজ্যের মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বাস্থ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজির সঙ্গে ছিল বৈঠক। সূত্রের খবর সেখানেই সুদীপ বলেন, পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি বুথ ‘গুরুত্বপূর্ণ’। তাই সেই ‘গুরুত্ব বুঝে’ প্রতিটি বুথেই নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে বলে নির্দেশ দেন তিনি।

উপনির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ভারতী ঘোষ, শিশির বাজোরিয়া, শমীক লাহিড়ী ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র

আরও পড়ুন: ‘মাথা ঝোঁকাবে না বাংলা’, আইপিএস অফিসার বদলি প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী

শেষার্ধে প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেন নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। সেখানে শমীক লাহিড়ী অভিযোগ করেন, ‘‘ভোটার লিস্টে বহু মৃতের নাম রয়েছে। আমাদের হিসাবে প্রতি বুথে ৩ থেকে ৫ শতাংশ মৃত ব্যক্তির নাম এখনও রয়েছে। সেই সব নাম অবিলম্বে বাদ দিতে হবে।’’ ভারতী ঘোষ বলেন, ‘‘বাড়ি থেকে বুথ পর্যন্ত স্পর্শকাতর, উত্তেজনাপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করতে হবে। সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। ভুয়ো ভোটার চিহ্নিত করতে হবে।’’

তবে, বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাল্টা মন্তব্য, ‘‘নির্বাচন কমিশনের কেউ কেউ দায়িত্ব নিয়ে এ রাজ্যে এসেছেন। তাঁদের কার্যকলাপ সংবিধান পরিপন্থী বলে মনে হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের এক্তিয়ারকেই চ্যালেঞ্জ করছেন তাঁরা। রাজ্য সরকার শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার জন্য কমিশনকে সব রকম সাহায্য করতে প্রস্তুত। কিন্তু সেই কাজকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। লিখিত ও মৌখিক ভাবে কমিশনকে এই কথা জানানো হয়েছে।’’

আরও পড়ুন: নড্ডা-হামলায় ‘বিতর্কিত’ তিন আইপিএস-কে বদলি করছে কেন্দ্র

প্রসঙ্গত, বিহারের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক-সহ কয়েকজন আধিকারিকও বৃহস্পতিবার জৈনের বৈঠকে ছিলেন। দেশে করোনা আবহে প্রথম ভোট হয়েছে বিহারে। ফলে বৈঠকে তাঁদের উপস্থিতিও গুরুত্বপূর্ণ। তবে তাঁরা বৈঠকে ‘ভার্চুয়ালি’ যোগ দেন বলেই সূত্রের খবর। আগামী কাল, শুক্রবার সুদীপ মালদহে যাচ্ছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE