কর্মসংস্থান নিয়ে রাজ্যের চিত্র তুলে ধরে কেন্দ্রীয় সরকারকে বিঁধলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। তাঁর দাবি, গত বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে দেশে বেকারত্ব বিরাট আকার ধারণ করলেও, রাজ্যে তা কমেছে। নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে একাধিক পরিসংখ্যানও বেশ করেছেন তিনি।
রবিবার টুইটে ডেরেক দাবি করেছেন, ‘২০২০ সালে, যখন দেশে ২৪% বেকারত্ব তখন বাংলায় বেকারত্ব হ্রাস পেয়েছে ৪০%। বাংলায় কর্মসংস্থান হয়েছে’। এর পরেই পরিসংখ্যান দিয়ে রাজ্যে কর্মসংস্থানের সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরেছেন তৃণমূলের ওই সাংসদ। তাঁর দাবি, রাজ্যে তৃণমূল সরকারের আমলে ১ কোটি কর্মসংস্থান হয়েছে। বস্তুত এই পরিসংখ্যান বিভিন্ন জনসভায় আগেই তুলে ধরেছেন রাজ্যের মু্খ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
রাজ্যে কোন কোন ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান হয়েছে তারও বিস্তারিত ব্যাখ্যা রবিবার টুইট করে দিয়েছেন ডেরেক। তাঁর দাবি, তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান ২০১০-১১ সালের তুলনায় ৯০ হাজার থেকে বেড়ে হয়েছে ২ লক্ষ ১০ হাজারের বেশি। ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পে ১ কোটি ৩৫ লক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডেরেক। এ ছাড়া ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে চলতি অর্থ বছরে ১ কোটির বেশি মানুষ কাজ পেয়েছেন বলেও দাবি করেছেন তিনি। তাজপুরে সমুদ্র বন্দর প্রকল্পে কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্ত খুলে যাবে বলেও মত ডেরেকের।
In 2020, when the country faced 24% unemployment, Bengal’s unemployment reduced by 40%. Jobs created in Bengal and schemes. Here are the numbers👇
— Derek O'Brien | ডেরেক ও'ব্রায়েন (@derekobrienmp) January 17, 2021
২০২০ সালে, যখন দেশে ২৪% বেকারত্ব তখন বাংলায় বেকারত্ব হ্রাস পেয়েছে ৪০%। বাংলায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। পরিসংখ্যান দেখুন 👇 pic.twitter.com/7luewjbIK6
আরও পড়ুন: ঢাক, কীর্তন থেকে সুচিত্রা-স্মরণ, বাঙালি মন ছুঁতে মরিয়া কৈলাস
আরও পড়ুন: দিলীপ-শুভেন্দুর দ্বিতীয় কর্মসূচি সফলে মরিয়া বিজেপি
‘উৎকর্ষ বাংলা’, ‘যুবশ্রী’, ‘কর্মভূমি’, ‘কর্মসাথী’ রাজ্যের এমন একাধিক প্রকল্প ‘ফলপ্রসূ’ হয়েছে বলেও রবিবার দাবি করেছেন ডেরেক।
বিধানসভা নির্বাচনের আবহে রাজ্যে বেকারদের কর্মসংস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিজেপি। এ রাজ্যে প্রচারে এসে এ নিয়ে নিয়ম করে তৃণমূল সরকারকে বিঁধছেন গেরুয়াশিবিরের সর্বভারতীয় নেতারা। তা নিয়ে বিভিন্ন জনসভায় জবাব দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। লকডাউনে দেশে কর্মসংস্থান জোর ধাক্কা খেয়েছে বলেও পাল্টা অভিযোগ তুলছে তৃণমূল শিবির। দুই পক্ষের সেই লড়াইকে আরও গতি দিল রবিবার ডেরেকের টুইট।