সংসদে কংগ্রেসের বৈঠক তৃণমূল এড়িয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ অধীর। গ্রাফিক্স - সনৎ সিংহ
সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগে সব বিরোধী দলকে নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে। কিন্তু সেই বৈঠকে যোগ দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল। আর তৃণমূলের এই বৈঠক এড়িয়ে যাওয়ার কৌশলকেই খোঁচা দিলেন কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী।
তৃণমূলের বৈঠক এড়িয়ে যাওয়া নিয়ে বহরমপুরের সাংসদকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘এই বৈঠক সংসদের রীতি। কংগ্রেস দল শিষ্টাচার মেনে চলে। এটাই কংগ্রেসের উদারতা। যাঁরা প্রধানত শাসকের বিরোধী, তাঁদের আলোচনার এক টেবিলে ডাকা আমাদের দায়িত্ব।’’ এরপর অধীর আরও বলেন, ‘‘কোনও কোনও বিরোধী দল এমনও আছে, প্রকাশ্যে হয়তো তাঁরা বিরোধী। কিন্তু, আসলে তারা সরকারপক্ষের সঙ্গেই রয়েছে। যাঁদের মনে হয় যে আমাদের সঙ্গে এলেই সরকার বিরোধিতা হয়ে যাবে, তাঁরাই মনে করবেন যে কংগ্রেসের বৈঠকে যাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।’’
কংগ্রেসের লোকসভা দলনেতা বলেন, ‘‘সরকারের সঙ্গে সঙ্ঘাতের পরিবেশ তৈরি হলেই তারা সরে দাঁড়ান। কিন্তু কংগ্রেস এমনটা করতে পারে না। তাই নির্দিষ্ট শিষ্টাচার মেনেই চলতে হয়। কারণ আমরা দেশের সবচেয়ে পুরনো দল।’’তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘তাঁরা বৈঠকে আসবেন কি না, এটা তাঁদের দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বিরোধী দল হিসেবে আমাদের যা কর্তব্য, তা আমরা করেছি।’’ প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয়বার ক্ষমতা দখলের পর বিভিন্ন রাজ্যে সংগঠন বাড়ানোর কাজ শুরু করেছে তৃণমূল। আর সেই কাজে একের পর এক রাজ্যে কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূলে যোগদানের পালা চলছে ধারাবাহিকভাবে।
ত্রিপুরা, গোয়া, অসম, হরিয়ানার পর সম্প্রতি মেঘালয়ে কংগ্রেস থেকে ১২ জন বিধায়ককে তৃণমূলে যোগদান করিয়ে বিরোধী দলের তকমা ছিনিয়ে নিয়েছে মমতার দল। কংগ্রেস-তৃণমূল সম্পর্কে তিক্ততার ইঙ্গিত মিলেছে মমতার এ বারের দিল্লি সফরেও। চারদিনের দিল্লি সফরে মমতার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়নি কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী বা রাহুল গাঁধীর। আর শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতেই বিরোধী দলের বৈঠকে কংগ্রেসের ডাক উপেক্ষা করে সেই তিক্ততার আভাস দিয়েছে তৃণমূল। তাতেই পাল্টা জবাব দিয়ে নাম না করে তৃণমূলকে বিজেপি ঘনিষ্ঠ বলে আক্রমণ করেছেন অধীর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy