Advertisement
E-Paper

জঙ্গিদের তথ্য-খনির চাবি অধরা পুলিশের

গোয়েন্দা সূত্রের খবর, বহু সময়েই সাইবার বিশেষজ্ঞদের দিয়ে এ ধরনের অ্যাকাউন্টে ঢুকে বা ‘ডি-কোড’ করে ভিতরের তথ্য জানা যায়। কিন্তু এই অ্যাপটি এমনই নিরাপত্তা মোড়া যে তা ভাঙা যাচ্ছে না।

কুন্তক চট্টোপাধ্যায় ও শিবাজী দে সরকার

শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০২০ ০৪:৫৭
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

জঙ্গি সংগঠনের তথ্যের ভাঁড়ার হাতে পেয়েছেন গোয়েন্দারা। কিন্তু সেই ভাঁড়ারের তালা ভাঙতে পারছেন না তাঁরা। তাই কী কী তথ্য রয়েছে ভিতরে তা-ও অজানা। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, সম্প্রতি দুই জেএমবি জঙ্গি বড় করিম এবং শেখ রেজাউলকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। তাদের কাছ থেকেই জানা যায়, নিজেদের মধ্যে বার্তা চালাচালি করতে একটি বিশেষ অ্যাপ ব্যবহার করছে জঙ্গিরা। সেই অ্যাপের সন্ধান মিলেছে। কয়েকটি সন্দেহজনক অ্যাকাউন্টও রয়েছে। কিন্তু সেগুলি খোলা যাচ্ছে না। ইতিমধ্যে জঙ্গি সংগঠনের বাকি সদস্যরা ওই অ্যাপের সার্ভার থেকে তথ্য মুছে ফেলেছে কি না, তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে গোয়েন্দাদের।

গোয়েন্দা সূত্রের খবর, বহু সময়েই সাইবার বিশেষজ্ঞদের দিয়ে এ ধরনের অ্যাকাউন্টে ঢুকে বা ‘ডি-কোড’ করে ভিতরের তথ্য জানা যায়। কিন্তু এই অ্যাপটি এমনই নিরাপত্তা মোড়া যে তা ভাঙা যাচ্ছে না। তদন্তকারীদের সন্দেহ, ইন্টারনেট জগতে আঁধার দুনিয়া বা ‘ডার্ক ওয়েব’ রয়েছে। সেখানে তথ্য চালাচালি করলে সহজে হদিস পাওয়া যায় না। এই অ্যাপটিও তেমনই। এক গোয়েন্দা অফিসার জানান, এই অ্যাপটিতে একটি নির্দিষ্ট আইডি থাকে। একটি নির্দিষ্ট গ্রুপের সবাইকে সেই আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ঢুকতে হয়। কাউকে কোনও বার্তা দেওয়ার থাকলে সেটা লিখে রাখতে হয়। পরবর্তী সময়ে অন্য ব্যবহারকারী সেটি দেখে নেয়। অ্যাপটি সম্পর্কে বিস্তারিত খতিয়ে দেখে গোয়েন্দারা প্রায় নিশ্চিত, এটি ডার্ক ওয়েবেই ব্যবহার করা হয়েছে। তার ফলেই এমন কঠিন পরিস্থিতি।

আরও পড়ুন: করোনায় সুস্থতার হার ইতিবাচক: রাজ্য

ডার্ক ওয়েব কী

ইন্টারনেট জগতের আঁধার দুনিয়া যা গুগল, মোজ়িলার মতো সাধারণ ব্রাউজার দিয়ে ব্যবহার করা যায় না। ইন্টারনেটের এই অন্ধকার অংশে সব তথ্য সাঙ্কেতিক নিরাপত্তায় মোড়া থাকে। ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করতে গেলে নির্দিষ্ট ধরনের কম্পিউটার, ব্রাউজ়ার প্রয়োজন। এখানে ব্যবহারকারীদের পারস্পরিক যোগাযোগের মাধ্যমও জটিল এবং কারও আসল পরিচয় উন্মুক্ত হয় না। এই নিরাপত্তা ও লুকোচুরির কারণেই জঙ্গি সংগঠন, আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্র, মাদক পাচারকারীরা ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করে।

গোয়েন্দা সূত্রের খবর, বাংলাদেশে হোলি আর্টিজ়ান বেকারিতে হামলার পর সে দেশে জঙ্গিরা এমন নানান প্রযুক্তি ব্যবহার করছে বলে জানা গিয়েছিল। কিন্তু খাগড়াগড়ের পরে এ রাজ্যে জেএমবির একাধিক ঘাঁটির হদিস মিললেও এমন প্রযুক্তির কথা প্রথম জানা গিয়েছে। সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, জঙ্গি, আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্রের সদস্যরা ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করে। এর আগে এ রাজ্যে মাদক পাচারের ক্ষেত্রে তার হদিস মিলেছে। কিন্তু জেএমবি জঙ্গিরা যদি তা ব্যবহার করে তা হলে নিঃসন্দেহে চিন্তার বিষয়।

Terrorists Kolkata Police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy