ফাইল চিত্র।
রোহিতের মৃত্যু চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, নিয়ম মানছেন না অনেকেই। তাই রাতবিরেতে কলকাতা বিমানবন্দরের ভিতরে আচমকা অভিযানের সংখ্যা বাড়িয়েছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ)। গত কুড়ি দিনে সেই হানায় উঠে এসেছে বেশ কিছু অনিয়মের উদাহরণ। ডিজিসিএ কর্তাদের মতে, রোহিতের ঘটনার পরেও যে ইঞ্জিনিয়ার, টেকনিশিয়ানদের একাংশের টনক নড়েনি, এটা তারই প্রমাণ।
৯ জুলাই স্পাইসজেটের টেকনিশিয়ান রোহিত বীরেন্দ্র পাণ্ডে বিমানবন্দরের ভিতরে বিমান রক্ষণাবেক্ষণের সময়ে দুর্ঘটনায় মারা যান। রক্ষণাবেক্ষণের সময়ে যাতে ইঞ্জিনিয়ার ও টেকনিশিয়ানের কোনও ক্ষতি না হয়, তার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে ডিজিসিএ তদন্তে জানতে পারে। অভিযোগ, বিমানের পিছনের চাকা-ঘরের ভিতরে মাথা ঢুকিয়ে রোহিত যখন কাজ করছিলেন, তখনই ককপিটে বসে সুইচ টিপে সেই চাকা-ঘরের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ডিজিসিএ কর্তাদের দাবি, নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে যদি দরজায় ‘সেফটি পিন’ লাগানো থাকত, তা বন্ধ হত না।
এই ঘটনার আগেও রাতের দিকে আচমকা বিমানবন্দরে হানা দিতেন ডিজিসিএ-র অফিসারেরা। তখনও অনিয়ম নজরে এসেছে। ডিজিসিএ কর্তাদের কথায়, ‘‘কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার অর্থ, বিমানকে বসিয়ে দেওয়া। তাতে আখেরে ক্ষতি যাত্রীদেরই। তাই, আমরা সতর্ক করে ছেড়ে দিতাম। কিন্তু, তাতে যে কাজ হয়নি, তা রোহিতের মৃত্যুতেই বোঝা গিয়েছে।’’ এ বার তাই বাড়ানো হয়েছে অভিযানের সংখ্যা। দিল্লি থেকে নির্দেশ এসেছে, গাফিলতি দেখলেই কড়া ব্যবস্থা নিতে। দু’টি ক্ষেত্রে দুই ইঞ্জিনিয়ারকে ‘শো-কজ়’ করা হয়েছে।
বিমানবন্দরের অ্যাপ্রন এলাকায় রাতে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলে। ডিজিসিএ কর্তাদেরই অভিযোগ, রাতে তাঁদের অফিসারেরা বিমানবন্দরে হানা দিতে শুরু করলেই সেই খবর ছড়িয়ে যায়। ফলে, সবাই সতর্ক হয়ে যান। তখন তড়িঘড়ি নিয়ম মানতে শুরু করে দেওয়া হয়। কর্তাদের দাবি, ‘‘রোহিতের মৃত্যুর পরে সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ারদের যদি টনক না নড়ে, আমাদের হানা দেওয়ার খবর পেয়ে স্কুল-বাচ্চাদের মতো যদি সঙ্গে সঙ্গে নিয়ম মানতে শুরু করেন, তা হলে ভবিষ্যতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকছেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy