এক দিকে বাংলাদেশ, অন্য দিকে ইন্ডিয়া। নো ম্যানস ল্যান্ডে বাস করেন কবিতা সর্দার, নীলিমা সর্দার, কৌশল্যা মণ্ডলেরা। রবিবার বিকেলে ঘোজাডাঙা সীমান্তের সেই উত্তরপাড়ার জিরো পয়েন্টে প্রচার করতে গিয়েছিলেন বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্য। তাঁকে দেখে ঝাঁঝিয়ে উঠলেন নীলিমা, “আর্সেনিক ছাড়া জল মেলে না, রাতের বেলা বিদ্যুৎ নেই। জমি নেই। ঘর নেই। এ বার তো বলছে, এখান থেকে তাড়িয়ে দেবে। কোথায় যাব বলতে পারেন?”
ঘর নেই। কিন্তু নাম রয়েছে দারিদ্রসীমার উপরের তালিকায়। কারওর অভিযোগ, বিধবা ভাতা নেই। কিন্তু প্রতিবাদ করলে কী শাস্তি অপেক্ষা করছে জানেন না কেউই। বলে ওঠেন কৌশল্যা, “ভয়ে দিন কাটে আমাদের। এক দিকে রয়েছে সীমান্তরক্ষীদের চোখ রাঙানি, অন্য দিকে রয়েছে দুষ্কৃতীদের আনাগোনা।”
সব শুনে আশ্বাস দেন প্রার্থী। তার পরে সীমান্তের রাস্তা ধরে প্রায় তিন কিলোমিটার পেরিয়ে ঘোজাডাঙায় বিএসএফের ক্যাম্পের পাশ দিয়ে সোজা চলে যান দক্ষিণপাড়ার দিকে। এ দিন সকালে অবশ্য হুড খোলা গাড়িতে করে বসিরহাটের সংগ্রামপুর থেকে বাদুড়িয়ার কাটিয়াহাট অবধি প্রচার করেন তিনি।
অন্যান্য দিনের মতো এ দিনও কখনও গাড়িতে, কখনও পায়ে হেঁটে বসিরহাটে প্রচারে বেরিয়েছিলেন ইদ্রিশ আলি। প্রার্থীকে দেখে সুন্দরবনের যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য দ্রুত নদীবাঁধ ও সেতু নির্মাণের আবেদন জানিয়েছেন অনেকে। জিতলে ওই ব্যাপারে উদ্যোগী হবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন প্রার্থী। সিপিআই প্রার্থী নুরুল হুদা এ দিন বসিরহাট ২ ব্লকের কুলিনগ্রাম, চৈতা এলাকায় প্রচার করেন। খোলাপোতায় একটি সভাও করেন। অন্যান্য দলের প্রার্থীরা ইতিমধ্যেই আদাজল খেয়ে ভোটের প্রচারে নেমে পড়লেও কংগ্রেসের প্রার্থী কাজী আব্দুল রহিম (দিলু) কিন্তু এখনও ভোট প্রচারের পাশাপাশি কর্মিসভায় বিশেষ জোর দিচ্ছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy