এভাবেই ঝুঁকি নিয়ে নিত্য পারাপার করতে হয়। ছবি: রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়।
ফেরিঘাটে কংক্রিটের কোনও জেটি না থাকায়, হাঁটু জলে নেমেই যাত্রীদের ভুটভুটি চেপে হুগলি নদী পারাপার করতে হচ্ছে। ভাটার সময় এক হাতে ব্যাগ এবং অন্য হাতে জুতো নিয়ে কাদার মধ্য দিয়েও হাওড়ার হাটবাউরিয়া ফেরিঘাট দিয়ে পারাপার করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন যাত্রীরা। প্রত্যেকদিন এভাবেই জীবনের ঝঁুকি নিয়ে নদী পার হচ্ছেন তাঁরা। বর্ষার সময় এই সমস্যা আরও বাড়ছে বলে অভিযোগ উঠেছে যাত্রীদের।
কাদার মধ্যে দিয়েই শিশু, বৃদ্ধ এমনকী অসুস্থ মানুষ নিয়ে নদী পারাপার করতে গিয়ে নাজেহাল হচ্ছেন যাত্রীরা। উলুবেড়িয়ার বাসিন্দা জয়ন্ত দাস এই ফেরিঘাটের নিত্যযাত্রী। তিনি বলেন, “জেটি না থাকায় ভীষণ সমস্যায় পড়তে হয়। বিশেষ করে বর্ষার সময় রাতের অন্ধকারে পা পিছলে কোনও বড় দূর্ঘটনা অসম্ভব কিছু নয়।” তাছাড়া বর্ষার সময় নদীতে স্রোত বেশি থাকে। তাই নৌকা সবসময় সঠিক জায়গায় বাঁধতে পারা যায় না। তখন নৌকা থেকে ওঠানামার সময় সমস্য আরও বাড়ে বলে যাত্রীদের অভিযোগ। ফেরিঘাটের উল্টোদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ ঝাউতলা ঘাটেও কোনও পাকা জেটি নেই। তবে এই ঘাটে ইঁট পাতা থাকায় যাত্রীদের খুব একটা অসুবিধা হয় না। এই দুই ফেরিঘাট দিয়েই বিভিন্ন জুট মিলের কর্মীরা এবং স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা নিত্য যাতায়াত করে। এঁরা প্রত্যেকেই বিপদের আশঙ্কা মাথায় নিয়েই পারাপার করছে। হাটবাউড়িয়া ফেরিঘাটে জেটি তৈরীর ব্যপারে হাওড়া জেলা পরিষদের পূর্ত-কর্মাধ্যক্ষ কল্যান ঘোষ বলেন, “এব্যপারে চিন্তাভাবনা চলছে। তবে শীঘ্রই কিছু করা সম্ভব নয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy