এ ভাবেই যাতায়াত।
সঙ্কীর্ণ রাস্তা। ফুটপাথ জুড়ে হকার, ক্রেতাদের ভিড়। পাশেই দু’টি উচ্চমাধ্যমিক স্কুল ও হাওড়া উন্নয়ন দফতরের প্রধান কার্যালয়। নিয়ম ভেঙে ঢুকে পড়ছে সাইকেল ও মোটরসাইকেল। বাসের পাশ কাটিয়ে কোনওমতে হাঁটছেন পথচারীরা। এই ছবি হাওড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র ময়দান এলাকার। প্রতি দিন প্রবল যানজট হচ্ছে হাওড়া ময়দানের শরৎ সদন, বঙ্গবাসী ও পঞ্চাননতলা মোড়ে।
হাওড়া ময়দানে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ চলছে। স্বাভাবিক ভাবেই কাজের জায়গাটুকু ঘিরে রাখা হয়েছে। কিন্তু পথচারীরা ফুটপাথ ব্যবহার করতে পারেন না। কারণ, তা হকারদের দখলে চলে গিয়েছে। ফলে পথচারীদের রাস্তা ব্যবহার করতে হয়। বাসের পাশ কাটিয়ে কোনওমতে যাতায়াত করতে হয়। এখান থেকে একটি রাস্তা চলে যাচ্ছে পঞ্চাননতলার দিকে। এ পথে কদমতলা, রামরাজাতলা, আমতা, দাশনগর, ঝিখিরা ও হাওড়া ফায়ার সার্ভিস যাওয়ার বাস চলে। যত্রতত্র বাস দাঁড়িয়ে যানজট হয় বলে পথচারীদের অভিযোগ।
অন্য দিকে, এখান থেকে দু’টি রাস্তা গিয়েছে বঙ্গবাসীর দিকে। একটি পথে কলকাতাগামী বাস যায়। অন্য পথে দু’টি বিদ্যালয়, হাওড়া উন্নয়ন সংস্থার কার্যালয় রয়েছে। এখানেও ফুটপাথ জুড়ে জামাকাপড়ের দোকান। কোথাও জলের লাইন, কোথাও নিকাশির কাজের জন্য গর্ত খোঁড়া হয়েছে। নর্দমার স্ল্যাবের উপর দিয়ে পথচারীরা যাতায়াত করেন। মাঝেমধ্যেই এই অঞ্চলে যানজট লেগে যায়। স্থানীয় বালিকা বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী বলেন, “স্কুল ছুটি হওয়ার সময়ে হাঁটাই যায় না। তাই বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ভিড় কমলে বেরোই।”
হাওড়া পুলিশ সূত্রে খবর, পথচারীদের সুবিধার জন্য আলাদা লেন করা হয়েছে। কিন্তু পথচারীদের অভিযোগ, এতে সমস্যা আরও বেড়েছে। কারণ, লেনটি এতই সঙ্কীর্ণ যে ঠিকমতো যাতায়াত করা যায় না। তা ছাড়া নিয়ম ভেঙে মোটরসাইকেল এবং সাইকেল আরোহীরা লেনে ঢুকে পড়েন বলেও পথচারীদের অভিযোগ। এক পথচারী বলেন, “উন্নয়নের কাজ হবে। তাতে কিছু সমস্যা হবে। কিন্তু তার জন্য তো প্রশাসনকে বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে। এখানে তেমন কিছুই হয়নি। আমাদের নিত্য
হয়রানি হয়।”
হাওড়ার মেয়র রথীন চক্রবর্তী বলেন, “সাধারণ মানুষের সমস্যা হচ্ছে জানি। তবে হকারদের উচ্ছেদ করার কথা ভাবা হচ্ছে না। বিকল্প পথে সমস্যা সমাধানের কথা ভাবা হচ্ছে। তবে মেট্রোর বন্ধ কাজ অবিলম্বে শুরু করা দরকার।” হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার অজেয় রাণাডে বলেন, “সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা জানি। যানজট কমানোর চেষ্টা করছি। ময়দানে যে সব এলাকায় যানজট বেশি হয়, সেখানে ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বাসস্টপগুলি নির্দিষ্ট করা হয়েছে।”
ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy