Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

তোলা আদায়ের অভিযোগে তিন তৃণমূল নেতা প্রহৃত

তাঁরা এলাকায় ‘দাদাগিরি’ করেন, এই অভিযোগে সোমবার দুপুরে আরামবাগের ধামসা বাজারে প্রহৃত হলেন তিন তৃণমূল নেতা। মারধরের ঘটনায় পুলিশ এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। ওই এলাকায় দলীয় নেতাদের ‘দাদাগিরি’র অভিযোগ মানতে চাননি তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, সিপিএমের চক্রান্তে ওই ঘটনা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুর ১টা নাগাদ ওই বাজারের একটি দোকান থেকে দু’টি পান কিনতে যান আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য সন্তোষ মালিক।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আরামবাগ শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০১৪ ০১:২৫
Share: Save:

তাঁরা এলাকায় ‘দাদাগিরি’ করেন, এই অভিযোগে সোমবার দুপুরে আরামবাগের ধামসা বাজারে প্রহৃত হলেন তিন তৃণমূল নেতা। মারধরের ঘটনায় পুলিশ এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। ওই এলাকায় দলীয় নেতাদের ‘দাদাগিরি’র অভিযোগ মানতে চাননি তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, সিপিএমের চক্রান্তে ওই ঘটনা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুর ১টা নাগাদ ওই বাজারের একটি দোকান থেকে দু’টি পান কিনতে যান আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য সন্তোষ মালিক। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের শিক্ষা সেলের নেতা অসীম মালিক। হঠাৎই সেখানে এক যুবকের সঙ্গে দু’জনের বচসা বাধে। আচমকাই ওই যুবক দুই নেতাকে ঝাঁটা দিয়ে মারতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। তাঁর সঙ্গে আরও কয়েক জন জুটে যায়। সেই সময়ে ওই জায়গা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন আরান্ডি-১ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূলের শ্রীকান্ত ঘোষ। দলীয় নেতারা প্রহৃত হচ্ছেন দেখে বাধা দিতে গেলে তাঁরও একই পরিণতি হয়। মারের চোটে আহত শ্রীকান্তবাবুকে আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অন্য দুই নেতার প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। শ্রীকান্তবাবু চার জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। সেলিম বাদশা নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

মুন্সি মহম্মদ মুসা নামে অভিযুক্ত এক যুবকের অভিযোগ, “সন্তোষবাবু-অসীমবাবুরা বাজার থেকে দাদাগিরি করে তোলা আদায় করেন। এ নিয়ে ক্ষোভ ছিল এলাকায়। এ দিন আমাদের এক বন্ধু সেই প্রসঙ্গ তোলায় ওঁরা গালাগাল করেন। আমরা সংযত হতে বলি। তখন ওঁরাই আমাদের মারতে শুরু করেন।” ওই যুবকদের তরফে থানায় তিন নেতার নামে পাল্টা মারধরের অভিযোগ দায়ের হয়।

অভিযোগ উড়িয়ে সন্তোষবাবু বলেন, “আমি দুটো পান চাইতেই দোকানে থাকা এক যুবক বলতে শুরু করে, আমরা নাকি পয়সা দেব না! কথা-কাটাকাটি হয়। আচমকাই সে ঝাঁটা দিয়ে আমাদের মারতে থাকে। আমার কেন তোলা আদায় করতে যাব?” শ্রীকান্তবাবু বলেন, “মায়াপুর থেকে ফিরছিলাম। আমাদের দুই নেতাকে মারতে দেখে তাদের থামাবার চেষ্টা করি। বিষয়টি জানতে চাই। ওরা কিছু না বলেই আমাকে মারে।” আরামবাগের এক তৃণমূল নেতার দাবি, “ওখানে আমাদের দলের কেউ তোলাবাজি বা দাদাগিরিতে যুক্ত নয়। সিপিএম চক্রান্ত করে আমাদের নেতাদের হেনস্থা করল।” সিপিএমের পাল্টা দাবি, ওই ঘটনা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল।

আরামবাগের বেঙ্গা গ্রামে এ দিন এক তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে সিপিএমের বিরুদ্ধে। সিপিএম অভিযোগ মানেনি। পুড়শুড়ার ঘোলদিগরুইতে আবার সিপিএম প্রার্থী শক্তিমোহন মালিককে প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। প্রচার অসম্পূর্ণ রেখেই ফিরে যান প্রার্থী। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন। তৃণমূল অভিযোগ মানেনি।

ফেস্টুন ছেঁড়ার অভিযোগ। বিজেপির ফেস্টুন ছেঁড়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে গোঘাটের কুমারগঞ্জের ঘটনা। বিজেপি নেতা শশাঙ্কশেখর বাগের অভিযোগ, “কয়েক দিন ধরেই আমাদের পোস্টার-ফেস্টুন ছেঁড়া হচ্ছিল। রবিবার রাতে হাতেনাতে তৃণমূলের তিন জনকে ধরি। জনতা ওদের মারার উপক্রম করায় ছেড়ে দিই।” কুমারগঞ্জের তৃণমূল নেতা চঞ্চল রায় বলেন, “আমাদের কেউ ওদের কোনও ফেস্টুন ছেঁড়েনি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

arambagh tmc leader tola
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE