ধৃত মলয় মাঝি। —নিজস্ব চিত্র
দুই বোনকে ঘরে রেখে ঠাকুমা গিয়েছিলেন দোকানে। কিন্তু বছর ছয়েকের ছোট বোনটি ঠাকুমার কাছে যাওয়ার বায়না ধরে একাই বেরিয়ে পড়েছিল রাস্তায়। বছর দশেকের পিসতুতো বোনের নিষেধের তোয়াক্কা না করে রাস্তায় পা রাখতেই এগিয়ে আসে পড়শি এক যুবক। অভিযোগ, তাকে ঠাকুমার কাছে নিয়ে যাওয়ার নাম করে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে সে।
বোনকে খুঁজতে খানিক পরে দিদিও বেরিয়ে পড়েছিল রাস্তায়। এ ক্ষেত্রেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। বছর দশেকের মেয়েটিকে এ বার প্রায় জোর করেই টেনে নিয়ে গিয়ে রীতিমতো গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে তার উপরে অত্যাচার চালায় ওই যুবক।
তবে ছোট মেয়েটি বাড়ি ফিরে নিজের এবং দিদির ওপর অত্যাচারের ঘটনা বাড়িতে জানানোয় পাড়া প্রতিবেশীরা গিয়ে হাতেনাতে ধরে ফেলেন মলয় মাঝি নামে ওই যুবককে। মারধর করে তাকে তুলে দেওয়া হয়েছে পুলিশের হাতে। উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগরের দ্বারবাসিনী গ্রামে রবিবার দুপুরের ওই ঘটনার পরে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, “ওই যুুবককের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।’’ ওই দিন রাতেই বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে দুই নাবালিকার ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়। সোমবার ধৃত মলয়কে বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে পাঁচ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
এ দিন বনগাঁর এসডিপিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের শাসকদলের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস অবশ্য বলেন, “আমরাও চাই দোষীর শাস্তি হোক। তা বলে বিজেপি-র মতো গোলমাল পাকিয়ে এলাকার শান্তি বিঘ্নিত করার পক্ষপাতি নই আমরা।”
পুলিশ জানায়, এ দিন বিকেলে মেয়ের মুখে সব শুনে মলয়ের বাড়ি ছুটে গিয়েছিলেন ছোট মেয়েটির বাবা। মলয়কে ডাকতেই বেরিয়ে আসে সে। তবে মানতে চায়নি কোনও অভিযোগই। মলয়কে সরিয়ে তিনি ঘরে ঢুকেই দেখতে পান অন্য মেয়েটিকেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy