মইগ্রামে ৫ নম্বর বুথে পুলিশের কড়া পাহারা।
নির্বিঘ্নেই শেষ হল হুগলির দু’টি বুথের পুনর্নির্বাচন। ভোট পড়ল ৮৪.০৫ শতাংশ। একটিতে বুথ এজেন্টই দেয়নি বিরোধীরা।
রাজ্যে পাঁচ দফা নির্বাচনের তৃতীয় পর্যায়ে, গত ৩০ এপ্রিল ভোট হয়েছিল হুগলিতে। শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ তুলে জেলার বেশ কিছু বুথে পুনর্নির্বাচন দাবি করেছিল বিরোধীরা। নির্বাচন কমিশন দু’টি বুথে পুনর্নির্বাচনের নির্দেশ দেয়। তার মধ্যে একটি আরামবাগের মইগ্রামের ৫ নম্বর বুথ, অন্যটি ধনেখালির সিমলার ১১ নম্বর বুথ।
এর মধ্যে মঙ্গলবার মইগ্রামের বুথটিতে ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহ সে ভাবে চোখে পড়েনি। এই বুথে ভোট নিয়ে অবশ্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির তেমন কোনও অভিযোগ ছিল না। ওই বুথে গত ৩০ এপ্রিল ৯২ শতাংশ ভোট পড়েছিল। কেন ওই বুথে এ দিন ভোট নেওয়া হল প্রশাসনের কাছ থেকে তার সদুত্তর মেলেনি। এ দিন বুথে তৃণমূল ছাড়া কোনও রাজনৈতিক দলেরই এজেন্ট ছিল না। দিনের শেষে ৬০ শতাংশ ভোট পড়ে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
কেন বুথ এজেন্ট দেয়নি বিরোধী দলগুলি?
ধনেখালির ১১১ নম্বর বুথে বৃদ্ধা ভোটারকে সাহায্যে পুলিশ।
মূলত, কমিশনের ‘খামখেয়ালিপনা’কেই দুষেছে তারা। সিপিএম প্রার্থী শক্তিমোহন মালিক বলেন, “তৃণমূলের তাণ্ডব একটা কারণ। তা ছাড়া, আমরা এই বুথে পুনর্নির্বাচন চাইনি।” আরামবাগের কংগ্রেস নেতা প্রভাত ভট্টাচার্য বলেন, “এই বুথে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত শুধু প্রহসন নয়, চক্রান্তও আছে।” বিজেপি প্রার্থী মধুসূদন বাগের অভিযোগ, “টিভি চ্যানেলগুলিতে বারবার দেখানো সত্ত্বেও মইগ্রামের ৭ নম্বর বুথে পুনর্নির্বাচন হল না। অথচ অভিযোগহীন ৫ নম্বর বুথে তা হল কেন, তার কোনও ব্যাখ্যা মেলেনি।” কমিশনের খামখেয়ালিপনার প্রতিবাদেই তাঁরা বুথ এজেন্ট দেননি বলে জানান তিনি। ধনেখালির বুথটিতে অবশ্য ভোটদাতাদের উৎসাহ চোখে পড়েছে।
—নিজস্ব চিত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy