Advertisement
E-Paper

প্রধান শিক্ষিকা-গ্রামশিক্ষা কমিটির বিবাদে স্কুলে অচলাবস্থা ক্যানিংয়ে

প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে গ্রাম শিক্ষা কমিটির বিবাদের জেরে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে স্কুলে। অভিযোগ, প্রধান শিক্ষিকা স্কুলে না আসায় পড়ুয়াদের মিড ডে মিল বন্ধ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৪ ০৬:২৫

প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে গ্রাম শিক্ষা কমিটির বিবাদের জেরে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে স্কুলে। অভিযোগ, প্রধান শিক্ষিকা স্কুলে না আসায় পড়ুয়াদের মিড ডে মিল বন্ধ। নিয়মিত ক্লাস নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া নতুন ভবন তৈরির জন্য সর্বশিক্ষা মিশনের টাকা এসে পড়ে থাকলেও কোনও কাজ করা যাচ্ছে না। আর এর ফলে ভুগছে স্কুলের শ’দুয়েক ছাত্রছাত্রী। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের হেড়োভাঙা কাছারিপাড়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাস দেড়েক ধরে এমনই পরিস্থিতি চলছে।

স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১৯৩ জন। পাঁচ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার মধ্যে ২ জন পার্শ্বশিক্ষক। স্কুল সূত্রের খবর, গত ২৩ জানুয়ারি থেকে প্রধান শিক্ষিকা স্কুলে আসছেন না। স্থানীয় গ্রামবাসী তথা অভিভাবক জয়দেব নায়েক, গোবিন্দ নায়েক বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষিকা স্কুলে না আসায় ছাত্রচাত্রীদের মিড ডে মিল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ছাত্রচাত্রীদের পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে। তিনি কারও কথা শোনেন না। নিজের খুশিমতো চলেন। কিছু বলতে গেলে দুব্যর্বহার করেন। এর ফলে স্কুলে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।”

প্রধান শিক্ষিকা রীতে পাল অবশ্য বলেন, “আমি স্কুলে যেতে চাই। কিন্তু গ্রাম শিক্ষা কমিটির সদস্যরা চান আমি তাঁদের কথামতো কাজ করি। তাতে রাজি না হওয়ায় ওঁদের সঙ্গে বিবাদ বাধে। স্কুলে গেলে আমার উপরে আক্রমণ হতে পারে এই আশঙ্কায় স্কুলে যেতে পারছি না। বিষয়টি বিস্তারিত ভাবে স্কুল পরিদর্শককে জানিয়েছি।” গ্রাম শিক্ষা কমিটির সভাপতি রেবা মিত্র বলেন, ‘‘প্রধান শিক্ষিকা গত ২২ জানুয়ারি আমাদের নতুন কমিটি গঠন করা হবে বলে স্কুলে মিটিংয়ে ডকেন। আমরা স্কুলে গেলে উনি বাড়ি যাওয়ার তোড়জোর শুরু করেন। আমরা প্রতিবাদ করে বলি, ‘আপনি যদি বাড়ি চলে যাবেন তা হলে আমাদের ডাকলেন কেন?’ কিন্তু তিনি তার কোনও জবাব দেননি।” তাঁর অভিযোগ, “প্রধান শিক্ষিকা নিজের মতো করে সব কিছু করতে চান। তা নিয়ে কারও সঙ্গে কোনও আলোচনা করেন না। এর ফলে স্কুলে নানা কাজের ক্ষতি হচ্ছে। সমস্যাটি স্কুল পরিদর্শককে জানিয়েছি।”

স্কুল পরিদর্শক শেখ কবির আলি বলেন, “ওই স্কূুলে একটা সমস্যা তৈরি হচ্ছে। নিরাপত্তার কারণে প্রধান শিক্ষক স্কুলে যেতে পারছেন না। এর ফলে ছাত্রছাত্রীদের ক্ষতি হচ্ছে। সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।”

প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান সুরঞ্জনা চক্রবর্তী বলেন, “ওই স্কুলে যে গোলমাল চলছে তা শুনেছি। ১২ মার্চ প্রধান শিক্ষিকা, গ্রাম শিক্ষা কমিটির সদস্যরা ও স্কুল পরিদর্শককে নিয়ে বৈঠক করা হবে। সেখানে সমাধান সূত্র না মিললে প্রধান শিক্ষিকাকে অন্যত্র বদলি করে নতুন কাউকে স্কুলের দায়িত্ব দেওয়া হবে।”

school
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy