গোল নিয়ে গণ্ডগোল। আর তাকে কেন্দ্র করেই তুলকালাম হাওড়ার টিকিয়াপাড়ায়।
রবিবার বিকেলে দু’দলের এই সংঘর্ষে বৃষ্টির মতো ইট এবং কয়েকটি বোমা পড়ে। সংঘর্ষ ঠেকাতে এসে ইটের আঘাতে মাথা ফেটে যায় এক পুলিশ অফিসারের। পরিস্থিতি সামাল দিতে শেষ পর্যন্ত র্যাফ নামাতে হয় প্রশাসনকে। লাঠিচার্জ করে অবস্থা আয়ত্তে আনে র্যাফ। ঘটনাস্থল থেকে সাত জনকে আটক করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, টিকিয়াপাড়ার নূর মহম্মদ মুন্সি লেনের একটি মাঠে ফুটবল খেলা চলছিল। দু’দলের খেলোয়াড়েরা স্থানীয় ঝোলাপাড়া ও ঘাটমাঝি লেনের বাসিন্দা। খেলা কিছুক্ষণ গড়ানোর পরে হঠাৎই এক পক্ষের গোল দেওয়া নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়। আচমকা শুরু হয়ে যায় মারপিট। পুলিশ জানায়, খেলা ভণ্ডুল হয়ে যাওয়ার পরে মাঠের পাশে পড়ে থাকা ইট নিয়ে পরস্পরকে আক্রমণ শুরু হয়। এর মধ্যে হঠাৎ বোমা পড়তে থাকে। ভয়ে ছুটোছুটি শুরু হয়ে যায় মাঠে। এলাকার বাসিন্দা নূর মহম্মদ বলেন, “খেলায় একটি গোল করা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা থেকে শুরু হয় হাতাহাতি। তা-ই পরে সংঘর্ষের আকার নেয়। আমাদের বাড়িতেও ইট পাটকেল পড়তে থাকে। দুটো বোমাও পড়ে মাঠের ওপরে।” খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশবাহিনী ও র্যাফ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পুলিশ আসার পরেও প্রথমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। পুলিশকে লক্ষ করেও ইটপাটকেল ছোড়া হয়। ইটের আঘাতে মাথা ফেটে যায় পলাশ পাল নামে এক সাব-ইনস্পেক্টরের। পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে যাচ্ছে দেখে মাঠে নামে র্যাফ। তারাই লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
হাওড়া পুলিশের ডিসি (সদর) নিশাত পারভেজ বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে সাত জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।” আহত পুলিশ অফিসারকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। খেলোয়াড়দের মধ্যে ইটের আঘাতে কয়েক জন আহত হন। তাঁদেরও প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।