বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জ়িয়ার শেষকৃত্যে জনতার উদ্দেশে ক্ষমাপ্রার্থনা করলেন পুত্র তারেক রহমান। বুধবার দুপুরে প্রয়াত খালেদার জানাজা নমাজের আগে নাতিদীর্ঘ বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘‘খালেদা জ়িয়া জীবিত থাকা অবস্থায় যদি আপনাদের কারও কাছ থেকে কোনেও ঋণ নিয়ে থাকলে আমি পরিশোধের ব্যবস্থা করব।’’
এর পরেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান্ তারেকের মন্তব্য, ‘‘তাঁর (খালেদা) কোনও ব্যবহারে, কোনও কথায় আপনারা আঘাত পেয়ে থাকলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আল্লা যেন ওঁকে বেহেস্ত দান করেন।’’ বুধবার দুপুরে ঢাকায় জাতীয় সংসদ ভবন সংলগ্ন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে দুপুর ৩টে ৩ মিনিটে খালেদার ‘জানাজা’ শুরু হয়। শেষ হয় ৩টে ৫ মিনিটে। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তথা খালেদার পুত্র তারেক রহমান, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম প্রমুখ। ছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করও।
আরও পড়ুন:
রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের পাশাপাশি এসেছিলেন কাতারে কাতারে সাধারণ মানুষ। জানাজা শেষে কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে খালেদার মরদেহ সংসদ ভবন থেকে মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জিয়া উদ্যানে নিয়ে যাওয়া হয়। সমাধির কাছাকাছি পৌঁছোনোর পর খালেদার মরদেহবাহী কফিন কাঁধে তুলে নেন সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যেরা। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ জিয়া উদ্যানে তাঁর স্বামী তথা বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মেজর জ়িয়াউর রহমানের পাশে সমাধিস্থ করা হয় খালেদাকে।