এ ভাবেই জমেছে আবর্জনার স্তূপ। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়।
নির্বাচনে প্রচারের হাতিয়ার ছিল পরিস্রুত পানীয় জল আর জঞ্জাল অপসারণের সুবন্দ্যোবস্থ। প্রথম বিষয়ে কাজ শুরু হলেও, দ্বিতীয় সমস্যা নিয়ে হেলদোল নেই পানিহাটি পুরসভার। এমনই অভিযোগ পুরবাসীর।
পুর এলাকার জঞ্জাল থেকে সার তৈরি করে বাজারজাত করার যে প্রকল্প আগের বোর্ডের আমলে নেওয়া হয়েছিল তা মুখ থুবড়ে পড়েছে। প্রকল্পের জন্য জমি দূর অস্ৎ, আবর্জনা ফেলার জায়গায়ই স্থির করতে পারেনি পুরসভা। প্রথমে ঘন জনবসতির মধ্যে রামচন্দ্রপুর ভাগাড়ে, পরে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে ফাঁকা জমিতে জঞ্জাল ফেলতে গিয়ে সমস্যা হয়। কাছাকাছি বিলকান্দা-১ পঞ্চায়েতের মহিষপোতায় আবর্জনা থেকে সার তৈরির কাজও শুরু হয়নি। শেষ পর্যন্ত বিটি রোড আর কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারেই জঞ্জাল ফেলছে পুরসভা।
রাস্তার ধারে জমে গিয়েছে জঞ্জালের পাহাড়। চওড়া রাস্তার বেশ খানিকটা দখল করে নিয়েছে দুর্গন্ধময় জঞ্জাল। গাড়ি গেলে হাওয়ায় উড়ছে নোংরা প্লাস্টিক, কাগজের টুকরো। পথচারীদের মুখে, গায়ে এসেও পড়ছে মাঝেমাঝে। নাকে রুমাল চাপা দিয়েও গন্ধ এড়ানো যাচ্ছে না। জুতোয় আটকাচ্ছে ময়লা। দুর্গন্ধের তীব্রতা এতই যে গাড়ির কাচ বন্ধ করেও টের পাওয়া যাচ্ছে।
বিটি রোডে ট্রাক্টরস ইন্ডিয়া লিমিটেড থেকে আগরপাড়া স্টেশন বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত এই জঞ্জালের ঢিপি শুধু পরিবেশ দূষণই করছে না, তা বিপজ্জনকও বটে। এই জায়গায় বিটি রোডের ব্যারাকপুরমুখী লেনটির অনেকটা জঞ্জাল দখল করে রাখায় রাস্তা আচমকাই সঙ্কীর্ণ হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাতে রাস্তার আলো ঠিকমতো জ্বলে না। অন্ধকারে মাঝেমধ্যে জঞ্জালের ঢিপিতে ধাক্কা মেরে দুর্ঘটনা ঘটে। ফুটপাথ না থাকায় পথচারীরা গাড়ির ধাক্কা থেকে বাঁচতে অনেক সময় জঞ্জালের উপরে উঠে পড়েন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাড়তে থাকা জঞ্জাল কমাতে মাঝেমধ্যে রাতের দিকে আগুন ধরানো হয়। কখনও কখনও সেই আগুন ভয়ঙ্কর আকার নেয়। দমকল ডেকে আগুন নেভানোর নজিরও আছে বলেও অভিযোগ। একই চিত্র কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েরও। মুড়াগাছা মোড় থেকে কিছুটা এগোলেই জলাজমির পাশে জঞ্জালের পাহাড়। অভিযোগ, এই জঞ্জাল দিয়ে জলাজমি ভরাটের কাজও চলছে।
পুরসভা সূত্রে খবর, রাস্তার ধারে জঞ্জাল ফেলার সিদ্ধান্ত বাম বোর্ডের। দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy