রোজই ভোরে খবেরর কাগজ নিতে নীচে নামতেন বছর চল্লিশের ওই ব্যক্তি। কিন্তু শনিবার সকাল ন’টা বেজে গেলেও তিনি না নামায় সন্দেহ হয় ওই বাড়ির একতলার এক বাসিন্দার। দোতলায় গিয়ে তিনি দেখেন, ঘরে মেঝেতে শুয়ে রয়েছেন ওই ব্যক্তি এবং খাটে শুয়ে তাঁর বৃদ্ধা মা। বহু ডাকাডাকিতেও তাঁদের সাড়া না মেলায় খবর দেওয়া হয় প্রতিবেশীদের। চিকিত্সক ডেকে নিয়ে আসা হলে তিনি জানান, ১০-১২ ঘণ্টা আগেই মৃত্যু হয়েছে ওই দু’জনের।
শনিবার সকালে এমন ভাবেই বালির দেওয়ানগাজি থেকে মা ও ছেলের মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মৃতদেহের পাশ থেকে প্রায় ৮০টির মতো ঘুমের ওষুধের খালি পাতা উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের অনুমান, ওই ওষুধ খেয়েই দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু তাঁরা কেন ওই ওষুধ খেয়েছিলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ জানায়, দেওয়ানগাজি এলাকার একটি বাড়ির দোতলায় বৃদ্ধা মা স্বপ্না মিশ্রকে (৬৯) নিয়ে একাই থাকতেন ভাস্কর মিশ্র (৪০)। অবিবাহিত ভাস্করবাবু শেয়ার বাজারের ব্যবসা করতেন।
পুলিশ জেনেছে, বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন স্বপ্নাদেবী ও ভাস্করবাবু। সম্প্রতি শেয়ার বাজারে লোকসানও হয় ভাস্করবাবুর। শনিবার সকালে তিনি কাগজ নিতে নীচে না নামায় সন্দেহ হয় একতলার বাসিন্দা বাসব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দোতলায় উঠে তিনি দেখেন স্বপ্নাদেবীর ঘরে তালা ঝুলছে। পাশের ঘরে মেঝেতে হাফ প্যান্ট পরে, মাথায় গামছা বেঁধে শুয়ে ভাস্করবাবু। পাশে খাটে চাদর গায়ে দিয়ে শুয়ে তাঁর মা। বাসববাবু বলেন, “ওঁদের ওভাবে শুয়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয়। বারবার ডেকেও সাড়া পাইনি।” পুলিশ জানায়, বাড়ির উল্টোদিকের ঝোপ থেকে উদ্ধার হয়েছে ভাস্করবাবুর মোবাইল। তার ব্যাটারি উল্টো করে লাগানো ছিল। পুলিশের অনুমান, কেউ যাতে ফোনে যোগাযোগ করতে না পারেন, তাই হয়তো তিনি সেটি ওই অবস্থায় ফেলে দিয়েছিলেন। পুলিশের অনুমান, মানসিক অবসাদেই এই ঘটনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy