সুমনা কুণ্ডু, ষষ্ঠ।
মাধ্যমিকের মেধা-তালিকায় এ বারও বাজিমাত করল আরামবাগের স্কুল।
গত বছর মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছিল আরামবাগের ডিহিবাগনান কে বি রায় উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের ছাত্র রূপায়ণ কুণ্ডু। এ বার সেই স্থান দখল করল গোঘাটের কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মিশন মাল্টিপারপাস স্কুলের অর্ণব মল্লিক। অর্ণব-সহ মেধা-তালিকার প্রথম নয়ে এ বার হুগলিরই রয়েছে পাঁচ জন। তার মধ্যে চার জনই আরামবাগের।
কামারপুকুরের শ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দা অর্ণবের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮২। বাংলায় ৯২, ইংরেজিতে ৯৬, অঙ্কে ১০০, ভৌতবিজ্ঞানে ১০০, জীবনবিজ্ঞানে ৯৯, ইতিহাসে ৯৬ এবং ভূগোল ৯৯ পেয়েছে সে। প্রথম হওয়ার খবরটা বাড়িতে টিভিতেই পায় অর্ণব। তবে, সে যে প্রথম হবে ভাবেনি। দু’জন গৃহশিক্ষকের কাছে মাধ্যমিকের জন্য প্রস্তুত হয়েছিল। তার কথায়, “রেজাল্ট ভাল হবে নিশ্চিত ছিলাম। তবে এই ফল ভাবিনি। ভবিষ্যতে ডাক্তারি পড়ার ইচ্ছে রয়েছে।”
অর্ণবের বাবা সোমনাথবাবু আরামবাগের মুথাডাঙ্গা হাইস্কুলের দর্শনের শিক্ষক। মা রেখাদেবী গৃহবধূ। তাঁদের মতো স্কুল কর্তৃপক্ষও নিশ্চিত ছিলেন অর্ণবের সাফল্য নিয়ে। যেমনটা তাঁরা নিশ্চিত ছিলেন আর এক ছাত্র অমর্ত্যকে নিয়েও।
৬৭৫ নম্বর পেয়ে গোঘাটের বেঙ্গাই গ্রামের বাসিন্দা অমর্ত্য অষ্টম হয়েছে। তারও ডাক্তারি পড়ার ইচ্ছা। অমর্ত্যের বাবা প্রবীর পাল একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। মা অমিতাদেবী স্বাস্থ্যকর্মী। ছেলের সাফল্যের জন্য তাঁরা স্কুলের শিক্ষক এবং গৃহশিক্ষকদের কৃতজ্ঞতা জানান।
ছ’জন গৃহশিক্ষকের কাছে পড়ে ৬৭৭ নম্বর পেয়ে আরামবাগের কাপসিট হাইস্কুলের ছাত্রী সুমনা কুণ্ডু মেধা-তালিকায় ছ’নম্বরে রয়েছে। সুমনার বাড়ি আরামবাগের ডোঙ্গল মোড়ে। বাবা সন্দীপ কুণ্ডু প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। মা কীর্তকাদেবী গৃহবধূ। সুমনাও ডাক্তার হতে চায়। তার কথায়, “আমি ক্যানসারের মতো কঠিন রোগের নিরাময়ে গবেষণা এবং চিকিৎসা করতে চাই।”
অর্ণব সাধুখাঁ, নবম।
সায়ন্তন মণ্ডল, নবম।
মেধা-তালিকার নবম স্থানে থাকা পুড়শুড়ার শ্যামপুর হাইস্কুলের ছাত্র অর্ণব সাধুখাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৪। সে স্কুল ছাড়াও মাধ্যমিকের প্রস্তুতি চালিয়েছে একটি কোচিং সেন্টারে। ভৌতবিজ্ঞান পড়াতেন বাবা তাপস সাধুখা।ঁ তাপসবাবু স্থানীয় জঙ্গলপাড়ার একটি প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক। অর্ণবের মা বন্দনাদেবী ছেলেকে বাংলা পড়াতেন। ভবিষ্যতে সে অধ্যাপনা করতে চায়। গবেষণাতেও যুক্ত হতে চায়।
অর্ণবের সঙ্গে মেধা-তালিকায় একই জায়গায় রয়েছে গুপ্তিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সায়ন্তন মণ্ডল। প্রথম দশে স্কুলের কোনও পড়ুয়ার জায়গা পাওয়া এই প্রথম। তার তাপসকুমার মণ্ডল এই স্কুলেরই বাংলার শিক্ষক। তাঁর স্ত্রী কেয়াদেবী স্থানীয় পাটমহল স্কুলের পার্শ্বশিক্ষিকা। গুপ্তিপাড়া-১ পঞ্চায়েত ভবন-সংলগ্ন পাটমহল গ্রামের বাসিন্দা অর্ণবের পড়াশোনাই ধ্যানজ্ঞান। মাধ্যমিকে চার জন গৃহশিক্ষকের কাছে পড়েছে সে। বৃত্তি পরীক্ষাতেও জাতীয় স্তরে ভাল ফল করেছে।
সায়ন্তনের কথায়, ‘‘ইচ্ছে ছিল অঙ্ক নিয়ে পড়ার। তবে বাবা-মায়ের সঙ্গে আলোচনা করে মেডিক্যাল নিয়ে পড়ব স্থির করেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy