Advertisement
০৭ মে ২০২৪

শুরু হয়েও থমকে সরকারি অতিথি নিবাসের কাজ

বকখালিতে পর্যটকদের থাকার জন্য বাম জমানায় শুরু হয়েছিল ন’টি আধুনিক মডেলের অতিথি-নিবাস। কিন্তু সেই অতিথি নিবাস তৈরির কাজ এখনও অসমাপ্ত।

অসমাপ্ত সরকারি অতিথি নিবাস। ফেরজারগঞ্জে দিলীপ নস্করের তোলা ছবি।

অসমাপ্ত সরকারি অতিথি নিবাস। ফেরজারগঞ্জে দিলীপ নস্করের তোলা ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ফ্রেজারগঞ্জ শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০১৪ ০৮:১১
Share: Save:

বকখালিতে পর্যটকদের থাকার জন্য বাম জমানায় শুরু হয়েছিল ন’টি আধুনিক মডেলের অতিথি-নিবাস। কিন্তু সেই অতিথি নিবাস তৈরির কাজ এখনও অসমাপ্ত। অতিথি নিবাসগুলি চালু হলে বকখালিতে উন্নয়নের পাশাপাশি তৈরি হত নতুন বাজার। কর্মস্থানের সুযোগ মিলত এলাকার বাসিন্দাদের। কিন্তু নির্মাণ অসমাপ্ত থাকায় সমস্ত কিছুই এখন বিশ বাঁও জলে।

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ২০০৯ সালে তৎকালীন সিপিএম মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের উদ্যোগে বকখালি সমুদ্র লাগোয়া পাঁচ একর জমিতে ন’টি আধুনিক মডেলের অতিথি নিবাস বানানোর কাজ শুরু হয়। সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদ থেকে পাঁচ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছিল এই অতিথি নিবাসের জন্য। নিবাসের পাশে তৈরি হত সরকারি বাসস্ট্যান্ড। বাসকর্মীদেরও থাকার ব্যবস্থা হত অতিথি নিবাসের এলাকায়। এটি তৈরি হলে পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা হওয়ার পাশাপাশি আয়ও বাড়ত সরকারের। কিন্তু ২০০৯ সাল থেকে বছরখানেক নির্মাণ কাজ চলার পর হঠাৎ করেই তা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।

প্রশাসন সূত্রের খবর, যে জমিতে অতিথি নিবাস তৈরির কাজ চলছিল, সেটি আচমকাই সামু্দ্রিক এলাকার মধ্যে পড়ে বলে দাবি ওঠে কোস্টাল দফতরের পক্ষ থেকে। তাঁদের দাবি, ওই জায়গায় এক সময় সমুদ্র ছিল। পরে চর পড়ে জমির আকার নিয়েছে। পরে জমি সমস্যার আর সমাধান হয়নি। এরপরই ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল সরকার। কিন্তু সেই জমি সমস্যার সমাধান আজও হয়নি।

জমি সমস্যার কথা স্বীকার করে সিপিএমের প্রাক্তন সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদ মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের পরিকল্পনা ছিল, নামখানায় হাতানিয়া-দোহানিয়া নদীর উপরে সেতু করা হবে। পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য তৈরি করা হবে অতিথি নিবাস। কিন্তু এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর পড়ে থাকা কোনও কাজে হাত দিচ্ছে না।” অন্যদিকে, বকখালি ও সাগর উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান বঙ্কিম হাজরা বলেন, “ওই নিবাসের কাজ ফের শুরুর জন্য আলোচনা হয়েছে।”

কি বলছেন সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী? বর্তমান সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা বলেন, “আমি ওই দফতরকে বলেছি যাতে সমস্যা মিটিয়ে অতিথি নিবাসের কাজ শুরু করা যায়।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

tourist lodge bakkhali
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE