ধৃতি বন্দ্যোপাধ্যায়।
হিমালয় থেকে গভীর সমুদ্রে জীববৈচিত্র্য অটুট রাখার কাজের শরিক তাঁরা। শতাব্দী-প্রাচীন এই প্রতিষ্ঠানের প্রাসঙ্গিকতা বেড়েই চলেছে। কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন এবং বায়ুপরিবর্তন মন্ত্রকের অধীনে সেই ভারতীয় প্রাণিবিজ্ঞান সর্বেক্ষণ (জুলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া)-এর শীর্ষ পদে এই প্রথম একজন মহিলাকে দেখা যাবে। আগামী সপ্তাহেই জ়েডএসআই-এর অধিকর্তা পদে দায়িত্ব নেবেন ধৃতি বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার তাঁর নিয়োগের বিষয়টিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মিবর্গ এবং প্রশিক্ষণ বিভাগের অ্যাপয়েন্টমেন্ট কমিটি অব দ্য ক্যাবিনেটের ছাড়পত্র মিলেছে।
গত বছরেও কয়েক শো প্রাণীর ঠিকুজি-কোষ্ঠী থেকে বংশপরিচয় নথিভূক্ত করেছে জ়েডএসআই। ধৃতিদেবী বলছিলেন, ‘‘সর্বেক্ষণের যাত্রা শুরুর প্রথম তিন দশকে মহিলা বিজ্ঞানীদের নিয়োগই হত না। ১৯৪৯ নাগাদ মীরা মনসুখানি প্রথম মহিলা বিজ্ঞানী হিসেবে যুক্ত হন।’’ এখন মহিলাদের সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। জুনিয়র সায়েন্টিস্ট হিসেবে ১৯৯৭এ সর্বেক্ষণে যোগ দেন ধৃতি। ৫১ বছরের মহিলা হেসে বলছেন, ‘‘সর্বেক্ষণের কাজে মেয়েদের অবদান এখন নতুন কিছু নয়। তবে মেয়েদের নিজেকে প্রমাণ করতে এখনও খানিক বাড়তি ঘাম ঝরাতে হয়।’’
ধৃতির দাবি, ‘‘সর্বেক্ষণের বিভিন্ন প্রকল্পে নতুন প্রাণী খুঁজে বের করার কাজেও অন্তত শতকরা ৬০ ভাগ ক্ষেত্রেও মেয়েদেরই কৃতিত্ব। প্রজাপতি, পাখি থেকে অজানা স্তন্যপায়ী প্রাণী নিয়েও তাঁরা দারুণ কাজ করেছেন।’’ সর্বেক্ষণের সদর দফতর কলকাতায়। দেশ জুড়ে তাদের ১৬টি আঞ্চলিক কেন্দ্র। ১৯১৬-এয় সর্বেক্ষণের যাত্রা শুরুর সময়ে ডিরেক্টর জেনারেল ছিলেন টমাস নেলসেন অ্যানানডেল। প্রতিষ্ঠানের শতবর্ষে ১০০ জন মহিলা বিজ্ঞানীর অবদান নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ নথি প্রকাশে ধৃতিও যুক্ত ছিলেন। এর আগে ২০১২ থেকে সর্বেক্ষণের ডিজিটাল সিকোয়েন্স ইনফর্মেশন প্রজেক্টের কোঅর্ডিনেটর ছিলেন তিনি।
ধৃতির কথায়, ‘‘প্রতিষ্ঠানের শতবর্ষের পরম্পরাই আমায় আগামী দিনে পথ দেখাবে বলে মনে করি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy