নিজস্ব চিত্র।
অবৈধ যাত্রীবাহী গাড়ি বন্ধ করার দাবিতে রাস্তায় মৃতদেহ সেজে অভিনব বিক্ষোভ বাস চালকদের। মৃতদেহের মতো এক ব্যক্তির চোখে তুলসি পাতা, গলায় মালা দিয়ে খাটিয়ায় শুইয়ে দেওয়া হয়। সেই খাটিয়া কাঁধে এনে রাখা হয় রাস্তার উপর। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘির কোম্পানির ঠেক মোড়ে এ ভাবেই বিক্ষোভ দেখালেন এম-১০ রুটের বাস মালিক, চালক ও কর্মীরা। পরে প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপিও জমা দেন।
এক দিকে পেট্রোল ডিজেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি, তার উপর দিন দিন অবৈধ যাত্রীবাহী গাড়ি ও টোটোর দাপাদাপি। এর জেরে যাত্রী সংখ্যা কমছে বাসে। ফলে বাস শিল্পের সঙ্গে যুক্ত চালক, কন্ডাকটর-সহ কর্মীদের রুজি রোজগার প্রশ্নের মুখে।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, ডায়মন্ড হারবার, মন্দিরবাজার, দক্ষিণ বিষ্ণুপুর ও বায়দিঘিতে অবৈধ গাড়িতে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী পরিবহণের কাজ রমরমিয়ে চলে। সাধারণত পণ্যবাহী গাড়িকেই যাত্রী নিয়ে যাওয়ার মত ব্যবস্থা করে রাস্তায় নেমে পড়েন একদল অসাধু চালক। পাশাপাশি টোটোর সংখ্যা বাড়ায়, সমস্যা আরও বেড়েছে। অভিযোগ, আরটিও অফিসের চোখের সামনে বহাল তবিয়তে ঝুঁকির কারবার চলছে। যে কোনও সময় ঘটে যেতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা।
এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে অবৈধ গাড়ি বন্ধ করা-সহ একাধিক দাবিতে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরপগনার বিভিন্ন রুটে বাস বন্ধ করে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছিল জয়েন্ট কমিটি অব বাস অপারেটরর্স। সেই প্রতিবাদকে সমর্থন জানিয়ে বাস চালানো বন্ধ রাখা হয় এম-১০, এম-১৫, এম-১৬, এসডি-১১, এসডি-১৮, এসডি-১৯ ও এসডি-৫০ রুটে। এ দিন জয়েন্ট কমিটি অব বাস অপারেটরর্সের পক্ষ থেকে ডায়মন্ড হারবারের মহকুমা শাসক, এআরটিও অফিস ও সুন্দরবন জেলা পুলিশের কাছে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জয়েন্ট কমিটি অব বাস অপারেটরর্সের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কমিটির আহ্বায়ক তথা এম-১০ বাস রুটের সম্পাদক রইচ মোল্লা বলেন, ‘‘বহুবার অবৈধ গাড়ি বন্ধের আবেদন জানিয়েছি, কিন্তু সুরাহা হয়নি। অগত্যা বাস বন্ধ করে বিক্ষোভের পথে হাঁটি আমরা। অবৈধ গাড়ির দাপাদাপি বাড়তে থাকায় বাসের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের রুজি রোজগার প্রশ্ন চিহ্নের মুখে। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হবেন এই মানুষরা। তাই রাস্তায় শুয়ে মৃতদেহ সেজে প্রতিবাদ জানিয়েছেন চালকদের কেউ কেউ। এ বিষয়ে ডায়মন্ড হারবারের মহকুমা শাসক অঞ্জন ঘোষ জানিয়েছেন, ‘‘বিষয়টি নজরে রয়েছে। প্রায়ই অবৈধ গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান চালে। পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এনফোর্সমেন্ট ড্রাইভ আরও বাড়ানো হবে। ইতিমধ্যেই হটুগঞ্জ এবং মন্দিরবাজার এলাকায় বিভিন্ন অবৈধ গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy