Advertisement
E-Paper

রাজ্যপালের জন্য বন্ধ ক্যামেরা চালু বাজেটে

‘বৈষম্যে’ ক্ষুব্ধ হয়ে ফের মুখ খুললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:২২
—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

বাজেট অধিবেশনের শুরুর দিনে রাজ্যপালের ভাষণের সময়ে ভিতরে প্রবেশাধিকার ছিল না সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার। কিন্তু রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের বাজেট ভাষণ সোমবার বিধানসভা থেকে সরাসরি সম্প্রচারের বন্দোবস্ত হল। এই ‘বৈষম্যে’ ক্ষুব্ধ হয়ে ফের মুখ খুললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এবং এই প্রথম বিরোধী বাম ও কংগ্রেস তাঁর সঙ্গে একমত হয়ে বলল, রাজ্যপালের এমন বক্তব্য অযৌক্তিক নয়।

বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে রাজ্যপালের প্রারম্ভিক ভাষণ হয়েছিল শুক্রবার। সে দিন প্রথা ভেঙে সরাসরি সম্প্রচার কেন করা হল না, বিরোধীরা সেই প্রশ্ন তুললেও রাজ্যপাল নিজে এই নিয়ে কিছু বলেননি। বরং, ভাষণের পরে হাসিমুখে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে চা খেতে গিয়েছিলেন।

কিন্তু রাজ্য বাজেট টিভি চ্যানেলে দেখানো হচ্ছে জানার পরেই এ দিন রাজ্যপাল ধনখড় টুইট করেন, ‘রাজ্যের অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতা সরাসরি সম্প্রচার হয়েছে। অথচ সংবিধানের ১৭৬ অনুচ্ছেদের সংস্থান অনুযায়ী রাজ্যপাল যে বক্তৃতা করেন, প্রথা ভেঙে তা দেখানো হয়নি। সংবাদমাধ্যমকেও দূরে রাখা হয়েছিল। রাজ্যের মানুষের উপরেই বিবেচনার ভার ছেড়ে দিলাম’! রাজ্যপালের বিবৃতিতেও প্রশ্ন তোলা হয়েছে, এই ঘটনা কি এক ধরনের কণ্ঠরোধ ( সেন্সরশিপ) নয়? এটা কি সাংবিধানিক প্রধানের প্রতি অসহিষ্ণুতা নয়?

সম্প্রচার-বিতর্ক নিয়ে প্রশ্নের মুখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য মন্তব্য করতে চাননি। স্পিকার বিমানবাবু বলেন, ‘‘এ সব ছেলেমানুষের মতো মন্তব্য! এর কী জবাব দেব!’’ রাজনৈতিক শিবিরের একাংশের মতে, রাজ্যপালের ভাষণ ঘিরে রাজ্য সরকারের সঙ্গে যে টানাপড়েন চলছিল, তার প্রেক্ষিতেই এ বার তাঁর বক্তৃতা সম্প্রচারের ‘ঝুঁকি’ নেওয়া হয়নি। তখন আশঙ্কা ছিল, রাজ্যপাল যদি ‘নিজের কথা’ বলতে শুরু করেন! কিন্তু সে দিন কার্যক্ষেত্রে রাজ্যপাল সরকারি ভাষণ হুবহু পাঠ করার সময়ে তা না দেখানো এবং এ দিনের সম্প্রচারেই গোল বেধেছে।

আরও পড়ুন: জামিনের আবেদনই করলেন না দিবাকর

বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের মতে, ‘‘রাজ্যপালের ক্ষোভ সঙ্গত। ওঁর বক্তৃতার সময়ে ক্যামেরা বন্ধ রেখে কেন বাজেটের সময়ে দেখানো হল? এর আগে বিরোধীদের অন্ধকারে রেখে শুধু মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতা দেখানো হত। এ বারও যদি বিরোধীদের কথা না দেখিয়ে শুধু মুখ্যমন্ত্রীর জবাবি ভাষণ সম্প্রচার করা হয়, তা হলে যেমন ভাবে সম্ভব প্রতিবাদ হবে।’’ বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘অন্যায় হয়েছে। প্রথামাফিক দু’দিন আলো জ্বলে। রাজ্যপালের ভাষণের দিন আলো জ্বালতে গিয়েও নিভিয়ে দেওয়া হল আর এ দিন জ্বেলে দেওয়া হল!’’ বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহের বক্তব্য, ‘‘নিচু মন নিয়ে বড় কাজ হয় না! সাংবিধানিক প্রধানের বক্তব্যই মানুষকে দেখতে দেওয়া হবে না?’’

Jagdeep Dhankhar Bengal Budget 2
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy