জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে রাজ্যে আবশ্যিক হতে চলেছে ডিজিটাল রেশন কার্ড। খাদ্য সচিবের নির্দেশ ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে বিভিন্ন জেলা প্রশাসনের কাছে। কলকাতা পুরসভা এলাকাতেও সরকারি সিলমোহর দেওয়া সেই বার্তা গিয়েছে রেশন ডিলারদের কাছে। ফলে, খাদ্যসাথী প্রকল্পের তিন এবং চার নম্বর ফর্ম কিংবা পুরনো রেশন কার্ড দেখিয়ে রেশন তোলার দিন শেষ।
তবে, ডিজিটাল কার্ড আবশ্যিক হলে, প্রাথমিক ভাবে রাজ্যের প্রায় দু’কোটি গ্রাহক গণবন্টন ব্যবস্থার বাইরে চলে যাবেন বলে খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। ওই দফতরের এক শীর্ষ কর্তা জানান, রাজ্যের ৯.২৩ কোটি রেশন গ্রাহকের মধ্যে সাকুল্যে ৬.৮ কোটি গ্রাহকের হাতে ডিজিটাল কার্ড তুলে দেওয়া গেছে। জুন মাসের মধ্যে, বাকি গ্রাহকদের হাতে যে কার্ড পৌঁছবে, এমন ভরসা দিতে পারেনি খাদ্য দফতর। এ ব্যাপারে, আবেদনপত্র আর নেওয়া হচ্ছে না।
এক ধাক্কায় প্রায় দু’কোটি গ্রাহক হারালে রেশন ডিলারদের ব্যবসাও যে মুখ থুবড়ে পড়বে, তা মেনে নিয়েছে ‘অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশন।’ ফেডারেশেনের সাধারন সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু বলেন, ‘‘রেশনের আওতা থেকে দু’কোটি গ্রাহকের বাদ পড়া মানে ডিলারদেরও ক্ষতি। অনেকে ইতিমধ্যেই ডিলারশিপ ছেড়ে দিতে চাইছেন।’’
আরও পড়ুন: নকল না মিললেও হাজতে ব্যবসায়ী
খাদ্যমন্ত্রী অবশ্য আশ্বাস দিচ্ছেন, ‘‘রেশনের আওতা থেকে বাদ যাবেন না কেউ। পুরনো কার্ড জমা দিয়ে ডিজিটাল কার্ড সংগ্রহ করার জন্য জেলায় বিডিওদের প্রচারে নামানো হয়েছে।’’ খাদ্য দফতরের এই হুঁশিয়ারি অবশ্য নতুন নয়। প্রথমে, ১ ফেব্রুয়ারি, তার পর দিন পিছিয়ে পয়লা মার্চ থেকে আবশ্যিক করার কথা ছিল ডিজিটাল কার্ড। এ বার, এক ধাক্কায় তা পিছিয়ে দেওয়া হল দু’মাস। তবে, ডিজিটাল কার্ড না-থাকলে সংশ্লিষ্ট গ্রাহক রেশনে খাদ্যপণ্য না পেলেও কেরোসিন পাবেন বলে জানিয়েছে খাদ্য দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy