ছবি: সংগৃহীত।
শনিবার ডুয়ার্সের বীরপাড়ায় বিজেপির রাজ্য তপশিলি উপজাতি মোর্চার সভায় যোগ দিতে এসে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, বিজেপির ভয়ে মুখ্যমন্ত্রী দিদির ছবি আঁকা,কবিতা লেখা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এবার আমরা দিদির ভাষণ দেওয়া বন্ধ করে দিব। গুরুঙ্গ প্রসঙ্গে বলেন, বিমল গুরুঙ্গের সঙ্গে রাজ্য সরকার প্রতিহিংসা পরায়ন ব্যবহার করছে। গুরুঙ্গের চেয়ে পাহাড়ে যে বেশি ভাঙচুর করেছে,অগ্নি সংযোগ করেছে সেই বিনয় তামাংকে রাজ্য সরকার পুরষ্কার দিয়ে জিটিএর চেয়ারম্যান করেছে। গুরুঙ্গের প্রতি সরকারের ব্যবহারে আমরা ঘোর বিরোধী। তিনি আরও জানান, কলকাতায় বিজেপির সভায় মুকুল রায় এসে রাজ্য দিদির সরকারের কাজ-কর্মের কিছু কিছুটা বলেছে। মুকুলরায় তো তৃণমূলের সব কিছুই জানে, আমাদের বেশি পরিশ্রম করতে হবে না। মুকুল রায় রাজ্য সরকারের সব কিছু টেনে বের করবেন।
এদিন বীরপাড়ার বিজেপি কর্মিরা দিলীপবাবুকে আদিবাসী নৃত্যের মাধ্যমে স্বগত জানায়। বীরপাড়ার ধর্মশালায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে রাজ্য তপশিলি উপজাতির রাজ্য ও জেলা নেতাদের নিয়ে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। বৈঠকে দিলীপ ঘোষ ছাড়াও তপশিলি উপজাতি মোর্চার রাজ্য সভাপতি ক্ষুদিরাম টুডুও নেতাদের বিভিন্ন পরামর্শ দেন। বৈঠকের আলোচনা নিয়ে কোনও বিজেপি নেতা মুখ খুলতে চায়ছেন না। মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগ্গা বলেন “ আজকের বৈঠক একান্তই গোপন সাংগঠনিক বৈঠক। বৈঠকে দলের ও তপশিলি উপজাতি মোর্চার সংগঠনকে শক্তিশালী করার ব্যাপারে আলোচনা হয়। এব্যাপারে সংবাদমাধ্যমে কথা বলা উচিত হবে না।” বিজেপির একটি সুত্রে জানা যায়, বুথ কমিটিকে শক্তিশালী করে কাজ শুরু করতে হবে। দরকারে বুথ কমিটিকে ঢেলে সাজাতে হবে। বৈঠকে সামনের পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। শাসক দলের চোখরাঙানিকে ভয় পেয়ে পিছিয়ে আসা যাবে না। কোনও সমস্যা হলে তা সঙ্গে সঙ্গে রাজ্য কমিটিকে জানিয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্য দলের নেতা কর্মিদের বুঝিয়ে দলে টানার কথাও আলোচনা হয়।
সকালে দিলীপবাবু শিলিগুড়িতে বিজেপির একটি সভায় যোগ দেন। শিলিগুড়িতে দিলীপবাবুকে বিশ্ববাংলা প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘‘এ বিষয়ে মুকুল রায় ভাল বলতে পারবেন। এত বছর একসঙ্গে ঘর করেছেন। আমরা এমন ভুয়ো বাংলা বা বিশ্ব বাংলা চাই না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy