Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
BJP

জন বার্লার বাংলা ভাগের কথায় অস্বস্তি বিজেপি-র অন্দরে, বিরোধিতা দিলীপ, শুভেন্দুর

রবিবার জন বার্লার বক্তব্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তৃণমূলও।

নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০২১ ২২:৩৯
Share: Save:

উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য হিসাবে ঘোষণা করার দাবি তুলেছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা। এই বক্তব্যে অবশ্য সায় দিচ্ছেন না রাজ্য বিজেপি-র শীর্ষ নেতৃত্ব। শনিবার একবার বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বাংলা বিভাজন চান না বলেই জানিয়েছেন। রবিবার তিনি ফের জানিয়েছেন, ‘‘অখণ্ড পশ্চিমবঙ্গের পক্ষে বিজেপি। জন বার্লা যা বলেছেন, দল তা সমর্থন করে না।’’

দিলীপের মতোই জন বার্লার সিদ্ধান্তকে দলের সিদ্ধান্ত বলে মানতে চাননি বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন, ‘‘জন বার্লা যা বলেছেন, এই নিয়ে দলে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ যা বলেছেন, দলের বক্তব্য সেটাই। আর যে বঞ্চনার কথা জন বার্লা বলেছেন, তা কোথায় নেই? আমরা পশ্চিমা়ঞ্চলের ছেলে, আমাদের এলাকাতেও বঞ্চনা রয়েছে।’’

রবিবার জন বার্লার বক্তব্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তৃণমূলও। তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেছেন, ‘‘বাংলাকে ১৯০৫ সালে একবার ভাঙার চেষ্টা করেছিল ব্রিটিশ সরকার। সে বারও পারেনি। পরে দুটো সাম্প্রদায়িক দল বাংলাকে টুকরো করেছিল। নতুন করে বাংলাকে ভাঙার চক্রান্তকে বাংলার মানুষ ব্যর্থ করবে।’’ এই নিয়ে রবিবার পুলিশে অভিযোগও দায়ের করেছে তৃণমূল। দিনহাটা থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, উত্তরবঙ্গের শান্তি বিঘ্নিত করতে চাইছেন বিজেপি সাংসদ।

শনিবার কোচবিহারের একটি হোটেলে বিজেপি-র একটি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি-র আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা। সেখানেই বার্লা বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গের মানুষ উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। বাংলাদেশে থেকে অনুপ্রবেশের কারণে চা বলয়ের বাসিন্দারা নিজেদের এলাকায় কাজ পাচ্ছেন না। তাঁদের ভিন রাজ্যে কাজের সন্ধানে যেতে হচ্ছে।’’ পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন, উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত থেকে তিনি সরছেন না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

BJP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE