কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন দণ্ডবিধি ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’ নিয়ে আলোচনায় ‘আমরা-ওরা’য় আটকে রইল রাজ্য বিধানসভা। আইনের খুঁটিনাটির বদলে রাজনীতিই স্পষ্ট হল বিধানসভার বিতর্কে।
‘ন্যায় সংহিতা’র বিরোধিতা করে বিধানসভায় বুধবার প্রস্তাব এনেছে সরকার পক্ষ। আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের তোলা ওই প্রস্তাবে ভারতীয় দণ্ডবিধির পরিবর্তনকে সাধারণ মানুষের স্বার্থ-বিরোধী এবং রাজনৈতিক অভিসন্ধিমূলক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের আনা এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন বিরোধী বিজেপির একাধিক বিধায়ক। বিতর্কে রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘দেশের আইন ব্যবস্থায় এই পরিবর্তনের আগে আলোচনার কোনও সুযোগই রাখেনি কেন্দ্রীয় সরকার। শুধু তা-ই নয়, সংসদে বিরোধী ১৪৭ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করে আইন পাশ করা হয়।’’ তাঁর অভিযোগ, এই পরিবর্তনে সংবিধানের যৌথ তালিকার সুযোগ নিয়ে রাজ্যের এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা হয়েছে।
বিজেপির বিধায়ক অম্বিকা রায় সরকার পক্ষের এই প্রস্তাবের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আইনের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। কোথাও পুলিশ অতিসক্রিয় হলে সে ক্ষেত্রে তা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা রাজ্যের হাতে থাকছে।’’ এই প্রস্তাবের পিছনে সরকার পক্ষের রাজনৈতিক লক্ষ্য রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপির সচেতক শঙ্কর ঘোষ। এই প্রস্তাবের উপরে আলোচনা চলবে আজ, বৃহস্পতিবারও।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)