Advertisement
E-Paper

শবর গ্রামে খোঁজ নেবে জেলা পুলিশ

জেলার শবরেরা কেমন আছেন— সে তথ্য জোগাড় করতে এ বার বাঁকুড়ায় মাঠে নামছেন পুলিশকর্মীরা।

রাজদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:৩৯
সদলবলে: সাতজনের মৃত্যুসংবাদ পাওয়ার পরে জঙ্গলখাসে ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক। ফাইল চিত্র।

সদলবলে: সাতজনের মৃত্যুসংবাদ পাওয়ার পরে জঙ্গলখাসে ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক। ফাইল চিত্র।

জেলার শবরেরা কেমন আছেন— সে তথ্য জোগাড় করতে এ বার বাঁকুড়ায় মাঠে নামছেন পুলিশকর্মীরা। জেলার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও বৃহস্পতিবার বলেন, “প্রত্যন্ত এলাকায় পুলিশের বছরভর জনসংযোগ রয়েছে। তা হলেও লালগড়ের ঘটনার পরে, জেলার শবরেরা কেমন রয়েছেন, সেটা আলাদা ভাবে আমরা খোঁজ নিচ্ছি।’’ জেলা সভাধিপতি তথা তৃণমূল নেতা মৃত্যুঞ্জয় মুর্মুও জানিয়েছেন, তিনিও শবরদের নিয়ে খোঁজ নেবেন।

বাঁকুড়ায় শবরদের বাস প্রধানত জঙ্গলমহলের রানিবাঁধ, রাইপুর, খাতড়া এবং ইঁদপুর ব্লকে। পুলিশ সূত্রে খবর, পুলিশকর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের মূলত শবরদের পেশা, স্বাস্থ্য ও গ্রামে অবৈধ মদের ঠেক রয়েছে কি না তা দেখতে বলা হয়েছে। তবে বিরোধী দলের নেতাদের একাংশের ধারণা, সরকারি প্রকল্পের সুযোগসুবিধা না পাওয়া নিয়ে শবরদের ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে বহিরাগতেরা জেলায় ‘জমি তৈরি’ করতে নেমেছে কি না, সেটাই হয়তো পুলিশ দেখবে। বিজেপির রাজ্য নেতা সুভাষ সরকারের কথায়, ‘‘জঙ্গলমহলে অন্য কিছুর গন্ধ পেয়ে পুলিশ এখন শবরদের নিয়ে বাড়তি উৎসাহ দেখাচ্ছে।’’

লালগড়ের শবরদের মৃত্যুর খবর মঙ্গলবার জানাজানির পরে, জেলা পরিষদের সদস্য তৃণমূলের চিত্তরঞ্জন মাহাতোর উদ্যোগে বুধবার রানিবাঁধে শবরদের গ্রাম সেরেনসগড়া, চুড়কু, মুচিকাটায় এবং এ দিন কুল্যাম ও জভি গ্রামে স্বাস্থ্যশিবির হয়। জেলা সভাধিপতিও বলেন, “প্রশাসন ও পঞ্চায়েত সমিতিগুলিকে সব শবর গ্রামে স্বাস্থ্যশিবির করতে বলেছি। আমিও পরিদর্শন করে কোথায়, কী সমস্যা রয়েছে তা দেখব।”

লালগড়-পর্বের জেরে এমন পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে মৃত্যুঞ্জয়বাবু বলেন, ‘‘আমরা সারা বছরই এ সব করি। এখনও করছি।’’ বাঁকুড়ার জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস-ও বলেন, ‘‘শবর ও আদিবাসীদের বরাবরই গুরুত্ব দেওয়া হয়। তাঁরা বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। বিডিওদের সজাগ থাকতে বলা আছে। শবরদের গ্রামে নিয়মিত পরিদর্শন করা হয়।”

তবে ‘শবর কল্যাণ সমিতি’র রানিবাঁধ ব্লক সভাপতি রঘু শবরের দাবি, ‘‘কোথাও কিছু ঘটে যাওয়ার পরেই প্রশাসন তৎপর হয়। এটা নিয়মিত হলে শবরদের লাভই হবে।”

Police Information Sabar Village
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy