Advertisement
E-Paper

Coronavirus in West Bengal: ‘কোভিড যায়নি, বাঁচতে মাস্ক পরুন’

যাঁরা কোনও উপসর্গ ছাড়া আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁরা নিজেরা না জানলেও, তাঁদের একাংশ কোভিড বিধি না মেনে ভাইরাস ছড়াচ্ছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২১ ০৮:৩৬
মাস্ক পরতে অনীহা এখনও।

মাস্ক পরতে অনীহা এখনও। ফাইল চিত্র।

উৎসবের মরসুম পেরিয়েও কোভিড আক্রান্তের দৈনিক সংখ্যা সে ভাবে লাগাম ছাড়ায়নি বলে নিশ্চিন্ত হওয়ার জো নেই। বরং উপসর্গহীন ও মৃদু উপসর্গে আক্রান্তরাই এই মুহূর্তে মাথাব্যথা রাজ্যের চিকিৎসক মহলের।

কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা, যাঁরা কোনও উপসর্গ ছাড়া আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁরা নিজেরা না জানলেও, তাঁদের একাংশ কোভিড বিধি না মেনে ভাইরাস ছড়াচ্ছেন। আবার সামান্য জ্বর, সর্দি-কাশি, গলা ব্যাথা, হাঁচির মতো উপসর্গ দেখা দিলেও, অনেক সময়ে সেটিকে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে মামুলি অসুখ বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন অনেকে। অথচ পরীক্ষা করলে দেখা যাবে, এঁদের এক বড় অংশ কোভিড পজ়িটিভ।

চিকিৎসকেরা তাই সাবধান করছেন, এখনও মাস্ক পরেই থাকতে হবে। মানতে হবে কোভিড বিধি। এক সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞের কথায়, ‘‘করোনা নিশ্চিহ্ন না হওয়া পর্যন্ত মাস্ক পরতেই হবে। কারণ, প্রতিষেধক নিলেও করোনা আক্রান্ত হবেন না, এমন নিশ্চয়তা নেই। এখন যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের অনেকেরই দু’টি ডোজ় নেওয়া হয়ে গিয়েছে।’’

শল্য চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার বলছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে প্রতিষেধক নেওয়ায় করোনায় মৃত্যুর হার কমেছে। যদি ১০ হাজার জন মৃদু উপসর্গে আক্রান্ত হন, তার মধ্যে হয়তো দু’জন পরে সঙ্কটজনক হয়ে মারা যাচ্ছেন। তাঁর কথায়, ‘‘রাজ্যে ১৮-ঊর্ধ্বদের ৯০ শতাংশের বেশি জনের প্রতিষেধকের প্রথম ডোজ় হয়ে গিয়েছে। ২৫-৩০ শতাংশের দু’টি ডোজ়ই সারা। টিকা নেওয়া থাকায় কোভিড ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করে গলা পর্যন্ত প্রভাব বিস্তার করছে। তার পরে আর বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রভাব খাটাতে পারছে না। ফলে রোগী মৃদু উপসর্গে আক্রান্ত হচ্ছেন। সঙ্কটজনক খুব কম হচ্ছেন।’’

মৃদু উপসর্গেও দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত বলে মত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অনির্বাণ দলুইয়ের। তিনি বলেন, ‘‘মৃদু উপসর্গে আক্রান্তেরা বিষয়টি শুরুর দিকে এড়িয়ে গিয়ে বিপদ ডেকে আনছেন। কিন্তু তাঁরা যদি দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেন, তা হলে বড় বিপদ থেকে বাঁচা সম্ভব। বিশেষত বয়স্ক ও কোমর্বিডিটিতে আক্রান্তদের মৃদু উপসর্গ দেখা দেওয়ার এক-দু’দিনের মধ্যে পরীক্ষা করানো জরুরি।’’

করোনা আক্রান্তদের মূলত চারটি ভাগে (উপসর্গহীন, মৃদু ও মাঝারি উপসর্গযুক্ত এবং সঙ্কটজনক) ভাগ করেছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, যে সমস্ত রোগী সঙ্কটজনক কিংবা মাঝারি জটিলতায় আক্রান্ত, তাঁরা সুস্থ হওয়ার পরে হৃদরোগ বা ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছেন। অনির্বাণের কথায়, ‘‘ওই সমস্ত রোগীকে প্রতি মাসে কিংবা নির্দিষ্ট সময় অন্তর চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে। না হলে পরবর্তী সময়ে আরও বিপদ বাড়তে পারে।’’

চিকিৎসকেরা স্পষ্ট জানাচ্ছেন, আক্রান্ত হওয়ার মূল কারণ হল, মাস্ক খুলে ঘুরে বেড়ানো এবং কোভিড বিধিকে মেনে না চলা। তাঁদের কথায়, ‘‘করোনা ভাইরাস ছড়ায় ড্রপলেটের মাধ্যমে। সেখানে সব থেকে বড় রক্ষাকবচ মাস্ক।’’

Coronavirus Coronavirus in West Bengal Covid 19 corona
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy